মাইক্রোবাসের সম্পূরক শুল্ক, অ্যাম্বুলেন্স ও বাসের ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকেলস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।
সভায় এনবিআরের চেয়ারম্যানকে উদ্দেশে করে বারভিডার সভাপতি আবদুল হক বলেন, যে মাইক্রোবাস ২০ লাখ টাকা ছিল, সম্পূরক শুল্কের কারণে সেটা প্রায় ৪০ লাখ টাকা হয়ে গেছে। সংসদ সদস্যরা বিনা শুল্কে গাড়ি আনছেন। কিন্তু আপনি কিনতে গেলে ৮০০ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। এটা বাস্তবসম্মত নয়।
১০-১৫ আসনের মাইক্রোবাসে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বারভিডা সভাপতি বলেন, এটা সহনীয় করলে অনেক রাজস্ব বাড়বে। অনেক টাকা আসবে। মানুষ গাড়ি কিনতে চায়, কিন্তু এসব কারণে কিনতে পারছেন না।
এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমরা চিন্তা করছি। দেখি কী করতে পারি। জাপানি গাড়ি ভালো, এদের রিসেল ভ্যালু আছে। জাপানি গাড়ি প্রমোট করার জন্য যা যা দরকার, সবই করবো।
বাজেট প্রস্তাবে ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড গাড়ির শুল্ক কমানোর অনুরোধ জানিয়েছে বারভিডা। এছাড়া ১০-১৫ আসনবিশিষ্ট হাইয়েস প্রকৃতির মাইক্রোবাসের ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, অপচয়ের হার পুনর্নির্ধারণ, হাইব্রিড গাড়ির সিসি স্লাব ও সম্পূরক শুল্ক হার পুনর্বিন্যাস, ফুয়েল চালিত গাড়ির সিসি স্লাব ও সম্পূরক শুল্ক হার পুনর্বিন্যাসসহ বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছে বারভিডা।
এদিকে, আবাসন খাত ব্যবসায়ীদের একমাত্র সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন (রিহ্যাব) নিবন্ধন খরচ হিসেবে গেইন ট্যাক্স ৪ শতাংশ, স্ট্যাম্প শুল্ক এক শতাংশ, নিবন্ধন ফি এক শতাংশ, স্থানীয় সরকার ফি এক শতাংশ ও সব ধরনের ভ্যাট দুই শতাংশ নির্ধারণসহ বেশ কিছু দাবি জানিয়েছে। তবে, বহাল থাকা কালো টাকা সাদা করার সুযোগের বিষয়ে কোনো প্রস্তাব দেয়নি তারা।
বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমইএ) সভাপতি ও শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান মইনুল ইসলাম বলেন, দেশীয় টাইলস পণ্যের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ ও স্যানিটারির ওপর ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানান।
শিপিং এজেন্ট লাইসেন্সিং বিধিমালা ২০২৪ চূড়ান্ত করাসহ বেশ কিছু দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির পরিচালক এ এইচ এম কামাল বলেন, বিগত তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নতুন শিপিং এজেন্ট লাইসেন্স ইস্যু করা হচ্ছে না।
দীর্ঘসূত্রিতার কারণে শিপিং এজেন্ট হিসেবে প্রতিনিধিত্বকারী ব্যবসায় প্রতিযোগিতা ও উদ্ভাবন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের চাহিদা পূরণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি এনবিআরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিধিমালাটি চূড়ান্ত ও অনুমোদনের অনুরোধ জানান।
এছাড়া বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফা) এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরাও তাদের প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
এসএম/এমএএইচ/