নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আগের ম্যাচেই মাঠে ফিরেছিলেন অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। ফেরার ম্যাচে খুব বেশি ভালো কিছু করে দেখাতে পারেননি। তবে, নাসির হোসেন ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছেন পরের ম্যাচেই। ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে রূপগঞ্জ টাইগার্সের হয়ে খেললেন অসাধারণ এক ইনিংস।
৮৪ বল মোকাবেলা করে তিনি খেললেন ৭৭ রানের অনবদ্য এক ইনিংস। নাসির হোসেনের অসাধারণ ইনিংসটি শেষ পর্যন্ত কাজে লাগেনি। তার ইনিংসকে ম্লান করে দিয়েছেন ধানমন্ডি ক্লাবের অধিনায়ক কাজী নুরুল হাসান সোহানের আরেকটি অনবদ্য ইনিংস।
সোহানের দুর্ভাগ্য, ৩ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছেন। তবে, তার এই ৯৭ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে নাসির হোসেনদের গড়া ২৮০ রান টপকে ৫ উইকেটের ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে সোহানের দল ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮০ রান সংগ্রহ করে রূপগঞ্জ টাইগার্স। নাসির হোসেনের ৭৭ রান ছাড়াও আসাদুল্লাহ আল গালিব খেলেন ৬৫ রানের ইনিংস। ২৮ বলে ৪৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন আরিফুল হক। ২৬ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন নুহায়েল সানদিদ। ফজলে মাহমুদ রাব্বি নেন ৩ উইকেট।
জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই দারুণ খেলতে থাকে ধানমন্ডি ক্লাব। আজমির আহমেদ এবং হাবিবুর রহমান গড়েন ৫৮ রানের জুটি। ৪০ রান করে আউট হন আজমির আহমেদ। হাবিবুর রহমান করেন ৩৩ রান। ফজলে মাহমুদ রাব্বি ৭৭ বলে খেলেন ৪৭ রানের ইনিংস। নুরুল হাসান সোহান ৯৭ রানের পাশাপাশি ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন ইয়াসির আহমেদ।
শেষ পর্যন্ত ৪৭.১ ওভারেই ৫ উইকেটে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ধানমন্ডি ক্লাব। যদিও এই জয় কোনো কাজেই আসবে না ধানমন্ডি ক্লাবের। কারণ ৮ পয়েন্ট নিয়ে তারা এখন আছে ৮ নম্বর স্থানে। কারণ রাউন্ড বাকি আর একটা। এই এক রাউন্ডে সেরা ৬-এ আসা সম্ভব নয়।
আইএইচএস/