যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন আমদানি বেড়েছে চীনের। চলতি বছরের মার্চে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ১২ শতাংশ বেড়েছে। যদিও সেই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে স্বাভাবিক বাণিজ্য ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু ট্রাম্পের নতুন শুল্কযুদ্ধ বাণিজ্যে প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তাছাড়া সামনের মাসগুলোতে এক্ষেত্রে বাজারে প্রভাব থাকবে ব্রাজিলের। কারণ দেশটিতে মৌসুম শুরু হয়েছে।
জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, মার্চ মাসে চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ দশমিক ৪৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন তেলবীজ এনেছে।
জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনের সয়াবিন চালান এক বছর আগের তুলনায় ৬২ শতাংশ বেড়ে ১১ দশমিক ৬ মিলিয়ন টনে দাঁড়িয়েছে। ব্রাজিল থেকে চালান ছিল ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন, যা এক বছর আগের তুলনায় ৫৫ শতাংশ কম।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হয়। যার মোট দেশজ উৎপাদন ২৯ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এরপরই চীনের অবস্থান। দেশটির মোট দেশজ উৎপাদন ১৮ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
অন্যদিকে ২০২৪ সালে চীন ছিল বিশ্বের বৃহত্তম পণ্য রপ্তানিকারক। যার মোট পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলার এবং যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমদানি করে। যার পরিমাণ ৩ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার।
পণ্যের ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড় বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে, যা ২০২৪ সালে ৩৫৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
সূত্র: রয়টার্স
এমএসএম