জাতীয়

১০ কার্যদিবসের মধ্যে অনুসন্ধানের জন্য দুদকে ৩ আইনজীবীর আবেদন

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মোয়াজ্জেম হোসেন ও স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (ছাত্র প্রতিনিধি) তুহিন ফারাবি এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (ছাত্র প্রতিনিধি) মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে তদবির বাণিজ্যের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ ১০ কার্যদিবসের মধ্যে অনুসন্ধানের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে আবেদন জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের ৩ আইনজীবী। রোববার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে দুদকের সেগুনবাগিচা কার্যালয়ে তারা এ অভিযোগ জমা দেন।

অভিযোগকারী আইনজীবীরা হলেন, অ্যাডভোকেট নাদিম মাহমুদ, ইয়াছিন আলফাজ এবং অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।

অভিযোগে বলা হয়, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাবেক এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে তদবির বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। প্রায় একই ধরনের অভিযোগ উঠেছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (ছাত্র প্রতিনিধি) তুহিন ফারাবি ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (ছাত্র প্রতিনিধি) ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও। তারা ফ্যাসিবাদের দোসর চিকিৎসক-প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অর্থের বিনিময়ে পুনর্বাসনে সহায়তা করেছেন। এছাড়া স্থানীয় সরকার, স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য, পানিসম্পদ, গণপূর্ত, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে ঘুরে ঘুরে তদবির করতেন বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

এর আগে দুপুরে প্রেস ব্রিফিং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

তিনি বলেন, দুজন উপদেষ্টার এপিএস, পিএস-যাদের কথা আপনারা বলছেন সেই বিষয়ে দুদক আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী যে ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করতে হয়, সেটি আমরা করবো।

তার আগে সকালে উপদেষ্টাদের এপিএস ও পিও এর দুর্নীতি অনুসন্ধান শুরু করার দাবি নিয়ে দুদকে আসে যুব অধিকার পরিষদ। মার্চ টু দুদক কর্মসূচি নিতে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে সংগঠনের নেতাকর্মীরা দুদকে আসে। পরে দলটির পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল দুদকে স্মারকলিপি জমা দেয়।

এ বিষয়ে দুদক মহাপরিচালক বলেন, এটি (দুই উপদেষ্টার এপিএস ও পিও এর দুর্নীতি) আমাদের আমাদের নজরে এসেছে। আমরা এই বিষয়ে কাজ করছি। দুদক এই জাতীয় যে কোনো অভিযোগের বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন। আমরা এই নিয়ে কাজ করছি। আমাদের গোয়েন্দা ইউনিট এই সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এ বিষয়ে অগ্রগতি শিগগির জানতে পারবেন।

জানা গেছে, গত ২২ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করে যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২২ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও উপদেষ্টা তাকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশ দেন ৮ এপ্রিল। এর আগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের পিও ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

গত ২৫ এপ্রিল প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগের বিষয়ে দুদককে তদন্ত করার অনুরোধ জানিয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।

এসএম/এমআইএইচএস/এমএস