দেশজুড়ে

রাজশাহীতে বেড়েছে ডিমের দাম, কমেছে চাল ও সবজির

রাজশাহীর বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির ডিমের দাম দুই টাকা বেড়েছে। প্রতিকেজি চালে তিন টাকা ও সবজিতে ১০-১৫ টাকা দাম কমেছে। স্থিতিশীল আছে মুরগি, মাছ ও গরুর মাংসের বাজার।

শনিবার (২৪ মে) নগরীর সাহেববাজার ও এর আশপাশের বাজারে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি হালি দেশি মুরগির ডিম ৬০ টাকা, হাঁসের ডিম ৬০ টাকা, ফার্মের মুরগির লাল ডিম ৪৪ থেকে ৪৬ টাকা ও সাদা ডিম ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা ও দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬১০ টাকায়।

সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ১-২ টাকা কমে মিনিকেট চাল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭৪ টাকায়। আটাশ চালের দাম ১-৩ টাকা কমে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকায়।

এদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০-১৫ টাকা কমেছে করলা, কাঁকরোল, বেগুন, বরবটিসহ সব ধরনের সবজির দাম। বাজারে বেশিরভাগ সবজি ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পটল, ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা ও কাঁকরোল আছে এই তালিকায়। এছাড়া বরবটি, কচুর লতি, বেগুন, ঝিঙে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।

এ সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে, টমেটো ২০-৪০ টাকা, কাঁচাকলা এক হালি ২০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৩০-৪০ টাকা, গাজর ৫০-৭০ টাকা কেজি, শসা ৪০-৫০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৫০-৬০ টাকা কেজি, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, করলা ৪০-৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৩০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, ঝিংগা ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চাল কুমড়া প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।

সাগরপাড়া বাজারে রিফাত নামে এক ক্রেতা জানান, মুরগির দাম কমায় কয়েকটি কিনেছি। সবজির দামও দেখলাম অনেক কমেছে।

সাহেববাজারের সবজি বিক্রেতা মো. টুকু বলেন, বাজারে গ্রীষ্মের সবজির প্রচুর সরবরাহ থাকায় দাম অনেকটা কম। বৃষ্টির কারণে অনেকে ক্ষেতের সবজি তুলে ফেলছেন। গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় প্রতিটি সবজির দাম কেজিপ্রতি ২০ টাকা কমেছে।

এদিকে মাছের দামে কিছুটা বৈচিত্র্য দেখা গেছে। কিছু মাছের দাম স্থিতিশীল থাকলেও কিছু মাছের দাম বেড়েছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, তেলাপিয়া আর পাঙাশ ছাড়া অধিকাংশ মাছের দাম এখনো বেশি। বাজারে প্রতি কেজি রুই মাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, কাতল ৩০০-৪০০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০-৯০০ টাকা, টেংরা ৫৫০-৭০০ টাকা, চাষের শিং ৩৫০-৪৫০ টাকা, চাষের কৈ ২০০-২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০-২২০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০-২২০ টাকা ও কোরাল মাছ ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও বাজারে প্রতি কেজি বোয়াল ৬০০-৭০০ টাকা, দেশি কৈ ৮০০-১০০০ টাকা ও দেশি শিং ১০০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে মুরগি ও চাল ছাড়া অন্যান্য পণ্যের মধ্যে পেঁয়াজের দাম আগের মতোই রয়েছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকায়, আলু ২০-২৫ টাকা, দেশি রসুন ১২০-১৪০ টাকা, আমদানি করা রসুন ২২০-২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজশাহী মহানগর কাঁচা বাজার সমিতির সভাপতি ফাইজুল আলী বলেন, বাজারে সবজির দাম অনেক কমে গেছে। চালের দামও কমেছে। তবে বৃষ্টির কারণে বিক্রি কমেছে। মূলত এ কারণে এই সপ্তাহে বেশ কিছু জিনিসের দামও কমে গেছে।

সাখাওয়াত হোসেন/এমএন/জেআইএম