জাতীয়

নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ দেওয়ার সময় এসেছে: সিপিডি

গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, কোনো রোডম্যাপ নয়, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ দেওয়ার সময় এসে গেছে।

মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০২৪-২৫ অর্থবছর অবস্থান (তৃতীয় পাঠ)’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আরও পড়ুন পুঁজিবাজারে সংকট চলমান রয়েছে: সিপিডি এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন হলে বছরে ৮ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হতে পারে: সিপিডি

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্থিতিশীলতা ও নির্বাচনের কথা আপনারা বলছেন। ৯ মাস হয়ে গেছে। এখন সরকারের পক্ষ থেকে একটা টাইমফ্রেম দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে একটা নির্দিষ্ট তারিখ দেওয়াটা যুক্তিযুক্ত হবে। একটা ভালো সিদ্ধান্ত হবে। সেটা ডিসেম্বর হোক, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি কিংবা মার্চ হোক। নির্বাচনের রোডম্যাপ না, একেবারে সুনির্দিষ্ট একটা তারিখ দেওয়ার সময় এসেছে।

মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে ফাহমিদা খাতুন বলেন, ২০২৩ সাল থেকে মূল্যস্ফীতি বেড়েই চলেছে। এখন একটু কমেছে। বিশেষ করে খাদ্যে মূল্যস্ফীতিটা এই মূল্যস্ফীতি বাড়ানোর চালক হিসেবে কাজ করেছে। বন্যা, বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতাসহ নানান কারণে মূল্যস্ফীতির চাপ বেড়েছে।

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করছে বেশ কয়েকমাস ধরেই। নীতি সুদহার বাড়ানো হয়েছে ১০ শতাংশ, তারপরেও কাঠামোগত দুর্বলতায় পুরোপুরিভাবে মুদ্রানীতি কাজ করতে পারেনি।

ব্রিফিংয়ে এনবিআর, পুঁজিবাজার, জ্বালানি সংকট নিয়েও আলোচনা করা হয়।

সিপিডি জানায়, লোডশেডিং বাড়া, গ্যাসের সংকট ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি দেশের অর্থনীতি ও জনজীবনকে প্রভাবিত করছে।

চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা আদায়ে বছরের বাকি সময়ে ৬৪ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। চলতি অর্থবছর শেষ হবে আগামী ৩০ জুন। এই সময়ে এটা আদায় করা প্রায় অসম্ভব হবে বলে মনে করছে সিপিডি।

মার্চ পর্যন্ত চলতি অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আদায় করা রাজস্বের প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ২ দশমিক ৮ শতাংশ। এই তত্র উল্লেখ করে ফাহমিদা খাতুন বলেন, গত বছর যা ছিল ১০ দশমিক ৭ শতাংশ। এ ছাড়া জুলাই-জানুয়ারি সময়ে সামগ্রিক রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ।

এ সময় সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা বিনিয়োগে চাঞ্চল্য আনতে পারছি না। অনিশ্চয়তা কাজ করছে। বিডা একটা বড় কনফারেন্সও করলো। কিন্তু অনিশ্চয়তা থেকে যাচ্ছে। গ্যাসের সাপ্লাই, মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ, ওয়ানস্টপ সার্ভিসের অনেকগুলোই আমরা দিতে পারিনি। এটাই মূল চ্যালেঞ্জ। উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে জীবনমানে অবনমন যেটা দেখেছে সেটা থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র উপায় হচ্ছে শোভন কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা। সেটা করতে গেলে বিনিয়োগে চাঞ্চল্য আনতে হবে।

এসএম/এএমএ/জিকেএস