আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসীদের রুখতে র্যাব কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী।
Advertisement
মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ইন্তেখাব চৌধুরী বলেন, র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা এবং সারাদেশে ১৫টি ব্যাটালিয়নের মাধ্যমে যে নজরদারি, এটি চলমান। যদি কোনো অপতৎপরতা আমাদের নজরে আসে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুনঈদের আগেই ‘আন্ডারওয়ার্ল্ডের দাগি’ আসামি ধরার ছকচাঁদাবাজি, এক হাটের পশু অন্য হাটে নিলে কঠোর ব্যবস্থা: র্যাবতিনি বলেন, ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে পশুর হাট, কোরবানি, ঈদের জামায়াত, চামড়া বেচা-কেনাসহ বেশকিছু কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এক্ষেত্রে যে কোনো ধরনের অপতৎপরতা রুখতে সচেষ্ট রয়েছে এলিট ফোর্স র্যাব। কোরবানির পশুর হাটে ক্রয়-বিক্রয়ে প্রচুর আর্থিক লেনদেন হয়। এক্ষেত্রে অসাধু চক্রের মাধ্যমে জাল টাকার ছড়াছড়ির আশঙ্কা থাকে। জাল টাকা তৈরি ও সরবরাহের সঙ্গে জড়িত চক্রের বিরুদ্ধে তীক্ষ্ণ গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। হাটগুলোতে জাল টাকা শনাক্তে হাটে স্থাপিত কন্ট্রোল রুমে মেশিন স্থাপন করে সহায়তা করছে র্যাব। সবাইকে র্যাবের এই সেবা গ্রহণ করতে অনুরোধ করা হলো।
Advertisement
এছাড়াও এ সময়ে কোরবানির হাট কেন্দ্রিক ও মার্কেটে চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, প্রতারক চক্র, দালাল, মলম পার্টি এবং অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রুখতে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, অসুস্থ গবাদি পশু, কৃত্রিম উপায়ে রাসায়নিক দ্রব্য অথবা ইনজেকশন ব্যবহার করে দ্রুত সময়ে মোটাতাজা করা ও অস্বাস্থ্যকর গবাদি পশু শনাক্তকরণে র্যাবের নজরদারি চলমান থাকবে। পাশাপাশি পশু চিকিৎসকের সহায়তায় এসব গবাদি পশু শনাক্ত করে বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেটরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী বলেন, দেশের সবার ঈদুল আজহা নির্বিঘ্নে উদযাপন ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে র্যাব।
টিটি/ইএ/জেআইএম
Advertisement