খেলাধুলা

দুর্বল ব্যবস্থাপনা, গেট ভেঙে দর্শক ঢুকলো স্টেডিয়ামে

যে শঙ্কা করা হয়েছিল সেটাই হলো শেষ পর্যন্ত। বাংলাদেশ ও ভুটানের ম্যাচ শুরু হওয়ার পরও গ্যালারির অনেক চেয়ার ফাঁকা ছিল। কারণ, সময়মতো গ্যালারিতে দর্শক ঢুকতে না পারা। দর্শকদের প্রবেশের জন্য গেটগুলোয় যে ব্যবস্থাপনা ছিল তাতে অপেক্ষমাণ লাইন ছিল লম্বা। অধৈর্য হয়ে একদল দর্শক গেট ভেঙে ঢুকে পড় স্টেডিয়ামে। টিকিট হাতে থাকা দর্শকদের সাথে টিকিট ছাড়াও অনেকে ঢুকে পড়েন বলেই জানা গেছে।

গেটে দায়িত্ব পালন করা এক নিরাপত্তাকর্মী প্রেস বক্সে এসে বলেন, ‘চার নম্বর গেট ভেঙে অনেকে স্টেডিয়ামে ঢুকে পড়ে। নিরাপত্তা ব্যবস্থার এমন দুর্বল অবস্থা আগে কখনো দেখা যায়নি।’

গেট ভাঙার পর উত্তর গ্যালারি দর্শকে ভরে যায়। তবে এই প্রতিবেদন লেখার সময় পশ্চিম গ্যালারির অনেক চেয়ার খালি ছিল। দর্শক টিকিট কিনতে চেয়ে কিনতে পাননি, এখন ঢুকতে এসেও বিড়ম্বনায় তারা।

ভুটান ও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে আগে থেকেই উম্মাদনা ছিল চরমে। বাফুফে কর্মকর্তারা গণমাধ্যমে নানা ধরনের বক্তব্য দিলেও বাস্তবে দেখা গেলো উল্টো।

অব্যবস্থপনার শিকার গণমাধ্যমকর্মীরাও। অনেকে প্রেস বক্সে ঢুকেছেন খেলা শুরুর ৩০ মিনিট পর। তারপরও অনেকে ঢুকতে পারছিলেন না। আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রেস বক্সে টেলিভিশন থাকে, যা আগে দেওয়া হয়নি। খেলা শুরুর কিছু সময় আগে টিভি আনা হয় প্রেস বক্সে। যদিও প্রথমার্ধে টিভি চালু করতে পারেনি বাফুফে।

মাঠেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল ঢিলেঢালা। কারণ, ম্যাচের ৭০ মিনিটের সময় দেখা যায় পরপর দুজন দর্শক মাঠে প্রবেশ করে এক দৌড়ে বাংলাদেশের ডাগআউটে চলে যান। তাদের উদ্দেশ্য, টেন্টে বসা হামজা দেওয়ান চৌধুরী ও ফাহামিদুল ইসলামের সাথে সেলফি তোলা।

তবে উদ্দেশ্য সফল হয়নি ওই দুই দর্শকের। নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের ধরে মাঠের বাইরে নিয়ে আসে; কিন্তু এই দুই দর্শক কীভাবে মাঠে প্রবেশ করলো, সেটা নিয়েই এখন বড় প্রশ্ন।

আরআই/আইএইচএস/