কেনিয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে একজন ব্রিটিশ সেনা সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেখানে ব্রিটিশ সেনা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের কাছে এই ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। এর আগে ওই একই অঞ্চলে অপর এক ব্রিটিশ সেনার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল।
Advertisement
ধর্ষণের ঘটনাটি গত মাসে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার উত্তরে নানিউকি শহরের কাছে ব্রিটিশ আর্মি ট্রেনিং ইউনিটের আশেপাশে ঘটেছে বলে জানা গেছে।
অভিযুক্ত সেনাকে ঘটনার পর গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ঘটনার তদন্ত করছে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা বিভাগের ‘ডিফেন্স সিরিয়াস ক্রাইম ইউনিট’, যা দেশি ও বিদেশি মাটিতে ব্রিটিশ সেনাদের বিরুদ্ধে ওঠা অপরাধ তদন্ত করে থাকে।
Advertisement
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কেনিয়ায় একজন সেনা সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, অগ্রহণযোগ্য ও অপরাধমূলক আচরণের কোনো স্থান আমাদের সশস্ত্র বাহিনীতে নেই। কোনো সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ উঠলে সেটি তাদের কমান্ড চেইনের বাইরে স্বাধীনভাবে তদন্ত করা হয়।
এই ধর্ষণের অভিযোগটি ২০১২ সালের আরেকটি আলোচিত ঘটনার স্মৃতি আবারো সামনে এনেছে, যেখানে ব্রিটিশ এক সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে স্থানীয় এক নারীকে হত্যার অভিযোগ ওঠে।
অ্যাগনেস ওয়ানজিরু নামের ২১ বছর বয়সী ওই নারীর মরদেহ তিন সপ্তাহ নিখোঁজ থাকার পর ব্যাটুক ঘাঁটির কাছাকাছি একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ ছিল ঘটনার রাতে তিনি কয়েকজন ব্রিটিশ সেনার সঙ্গে সময় কাটিয়েছিলেন।
Advertisement
১৯৬৪ সালে স্বাধীনতা লাভের পরপরই কেনিয়ায় ব্যাটুক ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী প্রতি বছর ছয়টি সেনা ব্যাটালিয়ন ওই ঘাঁটিতে প্রশিক্ষণ নিতে পারে।
তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্রিটিশ সেনাদের আচরণ নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। কেনিয়ার সংসদীয় একটি তদন্ত কমিটির শুনানিতে স্থানীয়দের ওপর নির্যাতনের নানা অভিযোগ ওঠে।
সূত্র: বিবিসি
এমএসএম