শিশুদের ঈদ আনন্দে বৃষ্টির বাগড়া

ঈদ মানেই খুশি, ঈদ মানেই আনন্দ। ঈদের আনন্দে সবচেয়ে বেশি মেতে ওঠে শিশুরা। নতুন জামা-কাপড় পরে পরিবারের বড়দের হাত ধরে ঘোরাঘুরিতে ব্যস্ত তারা। ঈদের তৃতীয় দিন শিশুদের নিয়ে রাজধানীতে ঘুরতে বেরিয়েছেন অনেকে। তবে শিশুদের এই আনন্দে বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি।

সোমবার (৯ জুন) শ্যামলীতে শিশুমেলা, আগারগাঁওয়ের বিমান জাদুঘরে গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টির কারণে বিপাকে পড়েন অভিভাবকরা। শিশুদের নিয়ে টিকিট কাউন্টারে, মেট্রো স্টেশনের সিঁড়ি ও মেট্রোরেলের পিলারের নিচে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে অনেককেই। বৃষ্টির স্থায়িত্ব ছিল প্রায় ৩০ মিনিট।

অভিভাবকদের ভাষ্য, মূলত খেলাধুলাসহ বিনোদনের জন্য তাদের পার্কে নিয়ে আসেন। কিন্তু বৃষ্টির কারণে শিশুরা খেলাধুলা করতে পারেনি।

দক্ষিণখান থেকে ৬ মাস বয়সী বাচ্চাকে নিয়ে এসেছেন মুক্তাদির। সঙ্গে রয়েছে তার স্ত্রী। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিয়েছেন বিমান জাদুঘরের টিকিট কাউন্টারে।

আরও পড়ুন:

মেট্রোরেল যাত্রীদের গন্তব্য আজ বিনোদন কেন্দ্র

তিনি বলেন, ছোট বাচ্চা নিয়ে ঝামেলায় পড়লাম। বাচ্চা নিয়ে এবারই প্রথম কোরবানির ঈদ। একটু কষ্ট হচ্ছে তবু ভালো লাগছে।

মিরপুর-১৪ নম্বর থেকে ৭ বছর ও ৩ বছর বয়সী শিশুকে নিয়ে এসেছেন সোহাগ। তিনি বলেন, বৃষ্টিতে আটকে গেলাম। বিকেলে চিড়িয়াখানায় যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। সেখানে হয়তো যাওয়া হবে না।

তেজগাঁও থেকে স্ত্রী ও ৫ বছর বয়সী বাচ্চা নিয়ে এসেছেন আমিনুল শেখ। তিনি বলেন, বাচ্চাদের ঘুরে দেখানোর জন্য ঘুরতে বের হয়েছি। কিন্তু জাদুঘরের ভেতরে ঢোকার আগেই বৃষ্টিতে আটকে গেছি।

তিনি বলেন, শিশুদের নিয়ে সাধারণত ঘুরতে বেড়ানোর কারণ তারা দৌড়াদৌড়ি করবে, খেলাধুলা করবে, দেখবে-জানবে-শিখবে। কিন্তু এমন সময় বৃষ্টি হলো যে ঘুরে ঘুরে সব কিছু দেখার মতোও পরিস্থিতি নেই। মাঠে পানি জমে গেছে শিশুরা খেলতেও পারছে না।

আরও পড়ুন:

ঈদ আনন্দে মেতেছে রাজধানীবাসী

শিশুমেলায় বাবার সঙ্গে ঘুরতে এসেছে ৬ বছরের শিশু রাফি।

রাফির বাবা মো. তারেক বলেন, ছুটির দিনে ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে বের হই। যখন স্কুল থাকে তখন সারাদিন স্কুল প্রাইভেটের কারণে বাইরে বের হতে পারে না। আমারও অফিস থাকায় ঘুরতে বের হওয়ার সময় হয় না। বাচ্চাদের বাইরে না ঘোরালে, খেলাধুলা না করতে দিলে মানসিক বিকাশ ঘটে না। এজন্য ছুটির দিনগুলোতে আমি নিজেই ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে বের হই। কিন্তু এমন সময় বের হয়েছি যে ঘোরার আগেই বৃষ্টিতে আটকে গেলাম।

কেআর/এসএনআর/এমএস