সুনামগঞ্জে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় একটি তাজা গ্রেনেড পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুরে গ্রেনেডটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করে সেনাবাহিনী।
Advertisement
বিশ্বম্ভরপুর পুলিশের তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে চালবন গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান তার মরিচ ক্ষেতে গ্রেনেডটি পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানান।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মখলিছুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেনেড সদৃশ বস্তুটি দেখতে পায়। এরপর সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় থাকা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে ঘটনাটি জানানো হয়।
পরে শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুরে সেখান থেকে লেফটেন্যান্ট আল হোসাইনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল এসে প্রথমে এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। পরে সেটি মাটিতে পুঁতে নিষ্ক্রিয় করার সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এতে চারপাশের মাটি গর্ত হয়ে যায়।
Advertisement
সেনা কর্মকর্তা আল হোসাইন সাংবাদিকদের জানান, এই গ্রেনেডের মডেল হচ্ছে এম-৩৬। এটি ব্রিটিশ আমলে সরবরাহ করা হত। ১৯৭২ সালের পর আর এটি সরবরাহ করা হয়নি। এখানে গ্রেনেডটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কোনোভাবে আসতে পারে। এটি মাটির নিচে ১০০ বছরের কমবেশি সময় সক্রিয় থাকে।
আল হোসাইন বলেন, এলাকাবাসীর উচিত ছিল আগেই বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানো। এটি বিস্ফোরিত হলে জান-মালের অনেক ক্ষতি হতে পারত।
লিপসন আহমেদ/জেডএইচ/এএসএম
Advertisement