নৌবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
Advertisement
বুধবার (১৮ জুন) চাকরিপ্রার্থীর বাবার কাছ থেকে নগদ অর্থ গ্রহণকালে তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়। নৌবাহিনীতে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে চার-পাঁচ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছিলেন তারা।
তারা হলেন- মো. তরিকুল ইসলাম তারা এবং তার দুই সহযোগী মো. মামুন মুন্সী ও দুলাল সরদার।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
Advertisement
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অর্থের বিনিময়ে নৌবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার সঙ্গে জড়িত চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে নৌবাহিনী। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানাধীন গোয়ালখালী মোড় সংলগ্ন এলাকা থেকে মো. তরিকুল ইসলাম তারা এবং তার দুই সহযোগী মো. মামুন মুন্সী ও দুলাল সরদারকে চাকরিপ্রার্থীর বাবার কাছ থেকে নগদ অর্থ গ্রহণকালে হাতেনাতে আটক করা হয়।
তরিকুল ইসলাম নিজেকে ‘কমান্ডার শফিকুল ইসলাম’ পরিচয় দিয়ে নৌবাহিনীতে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে চার-পাঁচ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। আটককালে তার কাছ থেকে ভুয়া নিয়োগপত্র, জাল ব্যাংক চেক, নৌবাহিনীর নাম ব্যবহার করে তৈরি ভুয়া সিল ও নথিপত্র জব্দ করা হয়। এ সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত একটি গাড়িও জব্দ করা হয় এবং চালক রকিব হাসান জালালকেও আটক করা হয়।
পরে আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য খুলনার খালিশপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। তরিকুল ইসলাম এর আগেও একই অভিযোগে আটক হয়েছিলেন এবং জামিনে মুক্তি পেয়ে পুনরায় প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হন।
আইএসপিআর জানায়, প্রতি বছর নৌবাহিনীতে নাবিক ভর্তি কার্যক্রম চলাকালে এ ধরনের প্রতারক চক্র অবৈধভাবে অর্থের বিনিময়ে নৌবাহিনীতে চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতারণার চেষ্টা করে থাকে। নৌবাহিনী সদস্যদের তীক্ষ্ণ নজরদারি, ভর্তি কার্যক্রমের সুব্যবস্থাপনা ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে এ ধরনের অবৈধ ও অপচেষ্টামূলক কার্যক্রম অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোধ করা সম্ভব হচ্ছে।
Advertisement
নৌবাহিনীতে টাকা লেনদেনের মাধ্যমে নিয়োগের কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে সবাইকে প্রতারকচক্র থেকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানায় আইএসপিআর।
টিটি/ইএ