যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানি মেটা ঘোষণা করেছে, ২০২৫ সালের অক্টোবরের শুরু থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে তাদের প্ল্যাটফর্মে রাজনৈতিক, নির্বাচন এবং সামাজিক ইস্যু সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেবে। এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে মেটা ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন আইনি অনিশ্চয়তা ও জটিলতাকে দায়ী করেছে।
মেটার এই সিদ্ধান্ত গুগলের আগের ঘোষণার পুনরাবৃত্তি, যারা ২০২৩ সালের নভেম্বরে একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়। বিষয়টি বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে ইইউ-এর নতুন নিয়ন্ত্রণমূলক বিধিনিষেধের কারণে নেওয়া হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ট্রান্সপারেন্সি অ্যান্ড টার্গেটিং অব পলিটিক্যাল অ্যাডভারটাইজিং নামে নতুন আইন ১০ অক্টোবর ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে। এই আইন অনুযায়ী, প্ল্যাটফর্মগুলোকে স্পষ্টভাবে জানাতে হবে, যে কোন বিজ্ঞাপন রাজনৈতিক, কে অর্থ দিয়েছে, কত খরচ হয়েছে এবং কোন নির্বাচনী অঞ্চল বা ইস্যু টার্গেট করা হয়েছে।
এইসব নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাৎসরিক বৈশ্বিক আয়ের ৬ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।
মেটা তাদের এক ব্লগপোস্টে লিখেছে, ২০২৫ সালের অক্টোবরের শুরু থেকে আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামসহ আমাদের সব প্ল্যাটফর্মে রাজনৈতিক, নির্বাচন ও সামাজিক ইস্যুভিত্তিক বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করবো।
তারা আরও জানায়, এটি একটি কঠিন সিদ্ধান্ত। তবে ইইউ-এর নতুন আইন আমাদের জন্য যে অপারেশনাল চ্যালেঞ্জ এবং আইনি অনিশ্চয়তা তৈরি করছে, তা বিবেচনায় নিয়েই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।
মেটা দাবি করেছে, এই নিয়ম ইউরোপীয় নাগরিকদেরই ক্ষতির কারণ হবে।
এদিকে ২০২৪ সালের ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন দমনে ব্যর্থতার অভিযোগে ইউরোপীয় কমিশন ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। এই তদন্ত চলছে ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট এর আওতায়।
একইসঙ্গে, চীনা মালিকানাধীন টিকটকও ইইউ-এর নজরে রয়েছে, বিশেষ করে ২০২৩ সালের রোমানিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগে।
সূত্র: রয়টার্স
এমএসএম