কারা যেন একদিন দলবেঁধে নেমেছিল ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপালেরই মতো আর মনে নেইছোট্ট একটা ঘুমের মতো ছোট্ট এ জীবনমৃত্যুর দুয়ারে ঘণ্টাহীন যেন সংকেত ছাড়াই পড়ি
Advertisement
খুব সহজেই বুঝতে না পারি, অচেনা বাড়ির টানেক্ষমা মহৎ কর্ম ভুলি প্রতিশোধপরায়ণতার ক্যুবানেসময় চলে গেলে পেছনে শুধু দুহাত বাড়িয়েই ডাকিপথের কষ্ট আর কতটুকুই বোঝে পৃথিবীর পথিক
কারা যেন একদিন শুধু দলবেঁধে নেমেছিলপাহাড় সুউচ্চ হতে হতে নিঃসঙ্গ সারথি হয়েছিল আব্বার ছেলে আর ছেলের আব্বার মতনআমার এখন চব্বিশের অভ্যুত্থানের কথা মনে পড়ে
এখন কেবল জলে-স্থলে আর আকাশে-বাতাসে ভাঙনের বেগে ভাঙে, জলজ স্থলজ এবং প্রাণজ কখনো ভাঙে না সমূহ পৃথিবীর সব আব্বারাআমার আব্বা পৃথিবীর যুদ্ধবিধ্বস্তের মতো হলেওটিকে আছে বিরুদ্ধ সময়ের বিরূপতা সহ্য করেশত ঝড়-ঝঞ্ঝা, উসকানির তির্যকফাল বুকে নিয়ে গোপাল বিড়ির গন্ধ আমার প্রিয় পারফিউম হলেবারান্দার মেঝের প্লেটের ওয়াক্তগুলো আনন্দে
Advertisement
কারা যেন একদিন শুধু দলবেঁধে নেমেছিলতারপরে চলে গেছে ঝাঁকবাঁধা ভিমরুল আল ফেলেঢোঁড়া সাপের মতন আর বোবার মতন আমিআব্বা বলে ধৈর্য সহ্যে শক্তি আসে বাকিটা তো সময়ের
****
পথের কাছে প্রার্থনাপৃথিবী আরও হাইফাই ভাবে বেঁচে থাকতে পারতোপৃথিবীটা জন্ম থেকেই বিচ্ছিন্ন, এতটা বিকৃত ছিল নাছিল না প্রযুক্তির এতটা উন্নয়ন এবং উৎকর্ষতা।
আমরা মানুষগুলো ছন্নছাড়া আর উজবুক টাইপের দল পাকানোতে ব্যতিব্যস্ত, ক্ষমতার মোহে অন্ধ—প্রযুক্তির ব্যবহারে ঠিক এতটাই আনাড়িপনা স্বভাবের
Advertisement
শার্পনেল ছড়িয়ে গেলেই শেল বা বোমার দোষ কী!আমাদের আবিষ্কৃত ইন্টারনেটের শক্তি বুঝি,ন্যানো সেকেন্ডেই ছড়াতে পারে ধ্বংসযজ্ঞের খবর।
মানুষের বিবেকের আয়না দেখায় মানুষের কৃতকর্মরক্তাক্ত এবং রক্তোৎপল পূর্ণ বিশ্বভূবন,যুদ্ধ আর রাজনীতি গেঁথে দেয় জীবিতের ফলকযা অপাঠ্য ভয়ংকর সুন্দর অগণিত নীল শিলালিপি
আজ ভরে গেছে বঁধু সৌন্দর্যের আলোছায়া পথযে পথ মানুষের পাথেয়, পার্থ মাতার ভক্ষণে গেলে তাঅকূলদরিয়ার সমান্তরালে পথ নিখোঁজ কেলেঙ্কারি!
অদৃশ্য বলয় ধরে পথ কতটুকু পাড়ি দিতে পারে?যুদ্ধের থেকে নেই কোথাও কোনো কঠোর হুঁশিয়ারি;এই তো কিছুটা অতিমারি আর এতটাই মহামারি!
****
কেউ গাছের নিচে আগলে রেখেছিলেনএকটা গাছের মতো আমি দাঁড়িয়ে আছি কেমন করেহালকা বাতাসে ঝরে না কখনোগাছের সবুজ পাতা তবু ঝরানোর এ কী অপচেষ্টা!
বড় ইচ্ছে ছিল গাছটিকে সরিয়ে ফেলার কিন্তু ঈশ্বরের জন্যই হয়তো—নিধন হয়নি আরসময়মতো গাছটির পরিচর্যার সুযোগেইগাছটিতে আজ ফুল ফোটে—জীবন মালির জন্যই—অপার হয়েই মনেপ্রাণে যাচি এই আমি আমার কর্মকে
বনে বনে পাখি, কিচিরমিচির গানে গানে মুখরিত গাছের শাখাপ্রশাখে—শীতল ছায়ায় পথচারী—গাছ ছায়া ধরে মাঝেমধ্যে নেয় যেন গাছ ছিঁড়ে ছিঁড়ে তবু বেড়ে চলে গাছের পরিধি, রাস্তায় নামে না কখনো মাটি ফুঁড়ে শুকনো পাতার নিচে গাছ বেড়ে ওঠে—গাছ তো আর টায়ার না আচমকাই লিক হতে পারে!
সবকিছু বদলাতে পারে গাছ কী বাতাস ধরে রাখে?গাছপাতা পানি ধরে—চৈত্রের মাটি চৌচির হতে পারে—সবকিছু বদলাতে পারে চোখের পানি কী পারে?সময় বদলে যেতে যেতেই সময় বসে গাছের তলে।
এসইউ/জিকেএস