২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতালে শিক্ষক হত্যার মতো এ ধরনের সন্ত্রাসী ঘটনা আর সহ্য করা হবে না এবং প্রয়োজনে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার সকালে গণভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই হুশিয়ারী উচ্চারন করেন।শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াতের এ ধরনের অপরাধের নিন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই। নোয়াখালীতে স্কুল শিক্ষকের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের জন্য বিএনপি-জামায়াতই দায়ী। এ ধরনের ঘটনা আর সহ্য করা হবে না এবং প্রয়োজনে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।তিনি বলেন, আমরা কখনোই চাই না, কেউ এ ধরনের অপরাধ করুক, আমরা অবশ্যই অপরাধীদেরকে খুঁজে বের করব এবং এ ধরনের জঘন্য অপরাধ বন্ধে অপরাধীদের বিচার করব ইনশাআল্লাহ।শেখ হাসিনা বলেন, দেশের জনগণ যে মুহূর্তে শান্তিতে বসবাস করছে, ঠিক সে সময় এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর কোন যৌক্তিকতা থাকতে পারে না। সোমবারের বিএনপি-জামায়াতের হরতাল ডাকার কি যৌক্তিকতা থাকতে পারে, আমার জানা নেই।শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে সারা বছর বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে বলেন, চট্টগ্রামে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় একজন স্কুল ছাত্রী তার চোখ হারিয়েছে। বিএনপি-জামায়াত ক্যাডাররা ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিরোধে আন্দোরনের নামে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে এবং সারাদেশে ৫৮৪টি স্কুল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এমনকি তারা শিক্ষক ও ছাত্রদের উপরও হামলা চালিয়েছে।তিনি বলেন, তারা নির্বাচনের আগে এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছিল। কিন্তু কি করতে পেরেছে। নির্বাচন হয়েছে। তারা নির্বাচন প্রতিরোধ করতে পারেনি। তাহলে তারা কেন পুনরায় মানুষ হত্যা করছে।প্রাথমিক স্কুল সার্টিফিকেট (পিএসসি), জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী এডভোকেট মুস্তাফিজুর রহমান এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল হস্তান্তর করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী একই অনুষ্ঠান থেকে সারাদেশে পাঠ্য বই বিতরণ কর্মসূচিরও উদ্বোধন করেন।