বর্তমানে স্মার্টফোন সবার নিত্যসঙ্গী। এক মুহূর্তও কাটে না স্মার্টফোন ছাড়া। ফোন স্ক্রোল করতে গিয়ে ঠিক সময়ে প্রজেক্ট জমা দিতে পারছেন না, এরপরই বকা খেতে হচ্ছে বসের কাছে। শুধু বড়রাই নন, ছোটরাও স্মার্টফোনে আসক্ত হয়ে পড়ছে। এতে ক্ষতি হচ্ছে লেখাপড়া ও অন্যান্য কাজের। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় ফলাফল খারাপ করারও অন্যতম কারণ ফোন।
তবে চাইলেই অনেকে স্মার্টফোনের আসক্তি কমাতে পারছেন না। এদিকে গবেষণা বলছে, একাধারে ফোন ব্যবহার বাড়িয়ে দিচ্ছে বিষণ্নতার মতো মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা। এছাড়াও একাকিত্ব ও ঘুমের সমস্যা দেখা দিচ্ছে অতিরিক্ত ফোন ব্যবহারে। কিন্তু জানেন কি, স্মার্টফোনের কিছু অ্যাপই আপনার স্মার্টফোনের আসক্তি কমাতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো সম্পর্কে-
মিস্টিকলঞ্চঅ্যান্ড্রয়েড ইউজাররা ব্যবহার করুন মিস্টিকলঞ্চ। এটির মাধ্যমে আপনার হোম স্ক্রিনে সামান্য ও অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কয়েকটি অ্যাপই দেখা যাবে। ফলে ব্যস্ত সময়ে চাইলেও হাতের কাছে মিলবে না বিনোদনমূলক অ্যাপগুলো। বাঁচবে সময়। কমবে স্ক্রিন টাইম। এই মিস্টিকলঞ্চ অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবেন একদম বিনামূল্য।
ফরেস্টফরেস্ট হলো একটি টাইম ট্র্যাকিং অ্যাপ। ধরুন চাইছেন কাজে মনোনিবেশ করতে। তাহলে এই অ্যাপের মাধ্যমে ভারচুয়ালি একটি গাছ রোপন করতে পারেন। যতক্ষণ এই অ্যাপটি ফোনে চালু থাকবে ততক্ষণ বাড়বে গাছটি। যদি অ্যাপ থেকে বেরিয়ে যান মরে যাবে গাছ। পরবর্তীতে আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। অর্থাৎ ফরেস্ট চালু করা থাকলে ব্যবহার করতে পারবেন না অন্য অ্যাপ। এই অ্যাপ ব্যবহারে মিলবে কয়েন। যা ব্যবহার করে বাস্তবেই গাছ কিনতে পারবেন আপনি। ফলে গাছপালার শখ যাদের, তাদের স্ক্রিন টাইম কমানোর জন্য এই অ্যাপ বেস্ট।
অ্যাপ ডিটক্সএই অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্লক করতে পারবেন যে কোনো অ্যাপ। ফলে যদি চান নির্দিষ্ট কোনো অ্যাপ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে সেটিকে ব্লক করে দিন। আবার নিজের ইচ্ছে হলে আনব্লক করে ব্যবহার করবেন। ফলে খানিকটা হলেও কমবে ফোনে মগ্ন হয়ে থাকার অভ্যাস।
হেডস্পেসএটি একটি মেডিটেশন অ্যাপ। ধরুন দিনভর সোশাল মিডিয়ায় নানারকম জিনিস দেখে ক্লান্ত। কিছু কিছু বিষয়তো রীতিমতো চাপসৃষ্টি করে মাথায়। সেখান থেকে মুক্তি দিতে পারে এই অ্যাপ। এর ব্যবহারে বাড়ে সৃজনশীলতা।
রিফোকাসএই অ্যাপটি আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য। ধরুন না চাইতেও বারবার কিছু অ্যাপ বা ওয়েব সাইটে ঢুঁ দিচ্ছেন। এই অ্যাপ ব্যবহারে সেগুলোকে ব্লক করে দিন। তবে মাথায় রাখবেন, যা ব্লক করবেন তা চাইলেই কিন্তু আনব্লক করতে পারবেন না। ফলে যা একেবারেই প্রয়োজন নেই বা জীবন থেকে সরাতে চান সেগুলোই ব্লক করবেন এই অ্যাপ ব্যবহার করে।
আরও পড়ুন পানি ছাড়াও যেসব কারণে স্মার্টফোন নষ্ট হতে পারে বাহারি কভার ব্যবহার করে ফোনের ক্ষতি করছেন না তো?কেএসকে/এএসএম