আইন-আদালত

ফারুক খানের চিকিৎসার বিষয়ে শুনানি বুধবার

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খানের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশনা চেয়ে ট্রাইব্যুনালে করা আবেদনের ওপর আজ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি। এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৯ জুলাই দিন ঠিক করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ফারুক খানের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।

ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান বলেন, জুলাই আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কারাগারে থাকা সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খানের স্বাস্থ্যগত তথ্য ও চিকিৎসার বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই নির্দেশনার আলোকে কারা কর্তৃপক্ষ থেকে ওনার স্বাস্থ্যগত বিষয়ে একটি প্রতিবেদন এসেছে।

ফারুক খানের আইনজীবী বলেন, প্রতিবেদনটি নিয়ে বুধবার (৯ জুলাই) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারিক প্যানেলে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

আরও পড়ুন ফারুক খানের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি ২৩ জুন ফারুক খানের চিকিৎসার বিষয়ে আবেদন শুনানি সোমবার

তিনি বলেন, ফারুক খান শারীরিকভাবে অসুস্থ। তিনি একা চলাচল করতে পারেন না। তার চলাচলে অন্যের সাহায্যে নিতে হয়।

এর আগে সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খানের শারীরিক অবস্থার তথ্য জানানোর জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত। প্রতিবেদন আসার পর এ বিষয়ে শুনানি ও পরবর্তী নির্দেশনার জন্য দিন ঠিক করেন ট্রাইব্যুনাল।

গত ১২ মে এ সংক্রান্ত বিষয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন।

এর আগে ৯ মে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খানের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশনা চেয়ে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করা হয়।

এফএইচ/এমএএইচ/এএসএম