সংবাদ প্রশাসকের পর টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মাদক বিরোধী অভিযানের নামে প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী উপপরিদর্শক শামীম আল আজাদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বুধবার (৯ জুলাই) বিকেলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাসান মারুফের স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
বুধবার সকালে ‘মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে লুটের ঘটনায় ধরাছোঁয়ার বাইরে ‘মূলহোতা’ এ শিরোনামে জাগো নিউজে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
এর আগে এ ঘটনায় জেলা মাদকদ্রব্য অফিসের তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। তখন রহস্যজনক কারণে ঘটনার মূলহোতা সহকারী উপ-পরিদর্শক শামীম আল আজাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। তবে এখনো অভিযানে অংশ নেওয়া বাকিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এদিকে জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের সহকারী উপ-পরিদর্শক শামীম আল আজাদকে আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় সংযুক্ত করা হলেও তিনি যোগদান করেনি। আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় যোগদান না করায় মঙ্গলবার শামীম আল আজাদকে জেলা অফিসের উপ-পরিচালক আবুল হোসেন কারণ দর্শানো নোটিশ দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১৮ জুন সকালে ভূঞাপুরে সাবেক কাউন্সিলর সালেহা বেগম বাড়িতে মাদক বিরোধী অভিযানে নেতৃত্ব দেয় সহকারী উপ-পরিদর্শক শামীম আল আজাদ। শামীমের ইচ্ছেতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এছাড়া অভিযানে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণের আরও সাতজন ছিলেন। অভিযানে নামে নাটকীয়ভাবে ১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার দেখিয়ে ভুক্তভোগী নারীর জবানবন্দি ভিডিও রেকর্ড করা হয়। এসময় তারা ৮ লাখ ৪৬ হাজার টাকা লুট করে নেয়।
বরখাস্ত সংক্রান্ত অফিস আদেশে বলা হয়, ভুক্তভোগী নারীর টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত পূর্বক সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ধারা ১২ এর উপধারা ১ মোতাবেক সরকারি চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। বৃহস্পতিবারের দুপুরের মধ্যে শামিমকে প্রধান কার্যালয়ে যোগদান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল হোসেন সাময়িক বরখাস্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ নিয়ে আমাদের তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
আব্দুল্লাহ আল নোমান/আরএইচ/জিকেএস