তার দল ১১০ রানে অলআউট হয়ে ৭ উইকেটে হেরেছে। পাকিস্তানকে ১১০ রানে অলআউট করে খেলার ২৭ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ। স্কোরলাইনই বলে দিচ্ছে, এক তরফা ম্যাচ সহজেই জিতেছে বাংলাদেশ দল।
আগ্রাসী, আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার কথা বলে যাচ্ছেতাই ব্যাটিং করে শোচনীয় হার পাকিস্তানের। উইকেটের গতি, প্রকৃতি না ঠাউরে পরিবেশ-পরিস্থিতির সাথে থিতু না হয়ে অতিমাত্রায় আক্রমণাত্মক শটস খেলতে গিয়ে অকাতরে উইকেট বিলিয়ে এসেছেন ফাখর জামান, সাইম আইয়ুব, মোহাম্মদ হারিস ও আগা সালমানরা।
তাদের অতি আক্রমণাত্মক রুপের মুখে খেই না হারিয়ে উল্টো ঠান্ডা মাথায় বুদ্ধি খাটিয়ে জায়গামত বল ফেলে পাকিস্তানীদের একের পর এক সাজঘরে ফেরত পাঠিয়েছেন তাসকিন, মোস্তাফিজ, তানজিম সাকিব, শেখ মেহেদীরা।
তাদের মাপা ও উইকেট সোজা বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ের তোড় সামলাতে না পেরে একের পর এক আউট হয়েছেন পাকিস্তানের ব্যাটাররা। ম্যাচ দেখা সবাই বলছেন, শেরে বাংলার এই উইকেটে তেড়ে-ফুঁড়ে বাতাসে ভাসিয়ে শট খেলার মত ছিল না। তার সাথে বাংলাদেশের বোলারদের মাপা ও বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং যুক্ত হওয়ায় পাকিস্তানীদের এ করুন পরিণতি।
কিন্তু হায়! খেলা শেষে পাকিস্তানের হেড কোচ মাইক হ্যাসন বললেন উল্টো কথা। পাকিস্তানের এ কিউই ক্রিকেট কোচের ধারনা, তার দলের ব্যাটারদের বাজে ব্যাটিংয়ের চেয়ে উইকেটই তার দলের সর্বনাশ ডেকে এনেছে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে হ্যাসেনের নিজের অনুভব, এটা মোটেই আদর্শ উইকেট ছিল না। তার কথা, `আমার মনে হয় না এটা কারো জন্যই আদর্শ উইকেট। যে দলটি এশিয়া কাপ আর ওয়ার্ল্ড কাপের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে, সেই দলের জন্যই এই পিচ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য উইকেট না। যদিও আমাদের কিছু শটও উইকেট সম্পর্কে ভুল ধারনার উদ্রেক ঘটিয়েছে। ‘
`তবে এই পিচ কোনোভাবেই আন্তর্জাতিক মানের না। আমার মনে হয় না, দেশের বাইরে এই ধরনের পিচ কোনো কাজে লাগবে বাংলাদেশের। তবে আমি মনে করি, এই পিচে আগে ব্যাট করাটা খুব চ্যালেঞ্জিং। এই পিচে প্রথম ব্যাট করে ১০০ না ১৩০ নাকি ১৫০ লড়াকু পুঁজি, তাও ঠাউরে ওঠা কঠিন। আমার মনে হয় না এই পিচ কারো জন্যই ভাল।‘
এআরবি/আইএইচএস