কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের আর্থিক বিষয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ বিষয়ে সচিত্র সংবাদ সম্মেলন করেছেন মাস্টার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী আবু সুফিয়ান। রোববার (২০ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় কুমিল্লা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এসময় শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবারের (২২ জুলাই) মধ্যে অধ্যক্ষ বিদায় না হলে আমরণ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, পেশায় আমি একজন সংবাদকর্মী। আমাকে নিয়ে একটি দুর্নীতিবাজ চক্র ধারাবাহিকভাবে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। আমি এ বিষয়ে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে মুক্তি চাই। ফেসবুক বা ইন্টারনেটের কল্যাণে কলেজের ২-৩টি ছবি ও খণ্ডিত ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে আপনারা দেখেছেন। শুধু দু’টি ছবি দেখে ক্ষত বিক্ষত ভিক্টোরিয়ার বাস্তব চিত্র আপনারা অনুধাবন করতে পারবেন না। শতবর্ষী এ কলেজ শত সমস্যায় জর্জরিত।
তিনি বলেন, বর্তমান অধ্যক্ষ গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর যোগদানের পর ২৪ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক পরামর্শ সভার আয়োজন করেন। ওই সভায় কলেজ বিষয়ে ৬ দফা ও আবাসিক হলের ১০টি সমস্যা সমাধানের লিখিত প্রস্তাব দেন শিক্ষার্থীরা। গত ১১ মাসে এসব বিষয়ে কোনো গুরুত্ব দেয়নি কলেজ প্রশাসন। সর্বশেষ শিক্ষার্থীদের যে ৯ দফা আন্দোলন বা অধ্যক্ষের বিদায় চাওয়া তা কলেজ প্রশাসনের কর্মফল ও শিক্ষার্থীদের গত ১১ মাসের ক্ষোভের বিস্ফোরণ।
আমি গত ৮ বছর ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শতাধিক সংবাদ গণমাধ্যমে প্রচার করেছি। হয়েছে, মরে গেছে বা দিবস পালিত এ জাতীয় নিউজে কলেজ প্রশাসনের কোনো আপত্তি নেই। ভেঙে গেছে, সংকট, প্রয়োজন এ টাইপের নিউজের জন্য ধন্যবাদ। আর কত টাকায় ক্রয় করেছেন, এ প্রশ্ন টাকার খাতভিত্তিক বিবরণ চাওয়া যাবে না। আমি সাংবাদিক, শিক্ষার্থী সর্বোপরি বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে সরকারি অর্থ জমার খাতভিত্তিক বিবরণ চাই। আয়-ব্যয়ের হিসাব বিবরণ চাই।
তিনি আরো বলেন, মোট চারজনের একটি দুর্নীতিবাজ চক্র কর্মকর্তার কথায় আপনারা কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করবেন না। গত ১১ মাসে শিক্ষার্থীদের কী কল্যাণ করেছেন এ প্রশাসন তার তালিকা করুক। কলেজ ফান্ডে ১২ কোটি টাকার বেশি আছে। পুরো ক্যাম্পাস সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা বা লাইটিং করার জন্য কতদিন সময় লাগে? অথবা কত টাকা লাগে? বৃষ্টি শেষে তিনদিনেও পানি নজরুল হলের রুম থেকে যায় না। কলেজে মোটর রাখা আছে কার জন্য?
এসময় সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন, কলেজ ছাত্রদল নেতা ওমর ফারুক, কলেজ শিবির সভাপতি মনির হোসেন ও জুলাই যোদ্ধা মো. তামিম হোসেন।
সর্বশেষ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতা মো. আরিফুল হোসাইন। কর্মসূচি অনুযায়ী সোমবার (২১ জুলাই) থেকে কলেজে অবস্থান, বিক্ষোভ মিছিল, গণস্বাক্ষর ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, মঙ্গলবারের (২২ জুলাই) মধ্যে অধ্যক্ষ বিদায় না হলে সচিবালয়ের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা করেন তারা।
জাহিদ পাটোয়ারী/এফএ/জেআইএম