বাংলাদেশ এক গভীর আস্থার সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জনজীবনে নিরাপত্তাহীনতা, ব্যাংকিং খাতের অনিশ্চয়তা এবং নেতৃত্বের প্রতি আস্থাহীনতা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। দেশের সাধারণ মানুষ মনে করছে, এটি আর ‘নতুন বাংলাদেশ’ নয় বরং শিক্ষিত চোরদের বাংলা হয়ে উঠেছে।
নিরাপত্তাহীনতা ও সামাজিক বিশৃঙ্খলারাজপথে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই। প্রতিনিয়ত ছিনতাই, হুমকি ও সংঘবদ্ধ অপরাধের শিকার হচ্ছে নাগরিকরা। প্রশাসনের নির্লিপ্ততা ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি এই অবনতি আরও গভীর করেছে।
ব্যাংকে টাকার সংকট, আস্থার ধসবিভিন্ন ব্যাংকে গ্রাহকেরা নিজের টাকাই তুলতে পারছে না—এমন ঘটনা এখন আর বিরল নয়। জনগণের সঞ্চয় নিয়ে অনিয়ম ও স্বচ্ছতার অভাব ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এতে করে সাধারণ মানুষ চরম হতাশ ও ক্ষুব্ধ।
নেতৃত্বের প্রতি প্রশ্নবর্তমান শাসক ইউনূস সরকারকে নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকট হচ্ছে। জনগণের মত, সরকারের উচিত দ্রুত নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে দায়িত্ব হস্তান্তর করা। ‘দেশ আর ইউনূসকে চায় না’—এমন সরব দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও জনমনে ব্যাপকভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে।
জনমত কী পালাবদলের সূচনাএক সময় ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার নামে যে স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল, আজ তা ভেঙে খানখান হয়ে যাচ্ছে। নাগরিক অধিকার, সুশাসন ও ন্যায়ের প্রত্যাশা এখন উপহাসে পরিণত হয়েছে। দেশের মানুষের দাবি—বাঁচার অধিকার ফিরিয়ে দিন, নেতৃত্ব পাল্টান।
সামাজিক বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতি চলতে থাকলে দেশে আরও রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হতে পারে। তাই এখনই সময় নেতৃত্বের জবাবদিহি নিশ্চিত করা, ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা ঘটানো এবং জনগণের কণ্ঠকে শ্রদ্ধা করার।
এমআরএম/জেআইএম