দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় প্রান্তিকে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন শুরু হবে ১৮ আগস্ট। এ প্রান্তিকে ৩০ নম্বরের ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে। বাকি ৭০ নম্বরের সামষ্টিক মূল্যায়ন বা লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে।
গত ২৩ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি সব বিভাগীয় উপ-পরিচালক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং উপজেলা ও থানা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে সই করেছেন অধিদপ্তরের পলিসি অ্যান্ড অপারেশনের পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। চিঠির বিষয়টি ‘অতীব জরুরি’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা রোববার (২৭ জুলাই) থেকে চিঠি পেতে শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন
অন্ধকারে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রাথমিক শিক্ষকদের স্বামী-স্ত্রীর স্থায়ী ঠিকানায় বদলির সুযোগচিঠিতে বলা হয়, আগামী ১৮ আগস্ট থেকে দেশব্যাপী সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় প্রান্তিকের মূল্যায়ন শুরু হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে ২০২৪ সালে শিক্ষার্থী মূল্যায়ন নির্দেশিকার আলোকে ৩০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়ন ও ৭০ শতাংশ সামষ্টিক (লিখিত) মূল্যায়নের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রথম-দ্বিতীয় শ্রেণিতে মূল্যায়ন কীভাবে?প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের চিঠিতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির মূল্যায়নে নির্দেশনা থাকলেও প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। এ নিয়ে জানতে চাইলে অধিদপ্তরের পলিসি অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের দুজন কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানান, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) মূল্যায়ন পদ্ধতি অনুযায়ী—প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোনো লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে না। শতভাগ অর্থাৎ ১০০ নম্বরের ওপর ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে এ দুটি শ্রেণিতে।
এএএইচ/এমআইএইচএস/এমএস