গরমে এয়ার কন্ডিশনার বা এয়ার কুলার এখন বলা যায় ঘরের একেবারে জরুরি একটি ইলেকট্রনিক পণ্য। গরমে স্বস্তি পেতে এসি ব্যবহার করেন বাড়িতে, অফিসে। বর্ষায় ঘরের আদ্রতা ঠিক রেখে স্বস্তির পরিবেশ পেতেও এসি ব্যবহার করেন। আবার অনেকে কম খরচে এয়ার কুলার কেনেন ঘরের জন্য।
এদিকে খরচ বাঁচালেও মাস শেষে এসি-এয়ার কুলার ব্যবহারে বিদ্যুৎ খরচ কমানো মুশকিল হয়ে পড়ে। গরমের দিনে এসি বা কুলার চালানোর পর যে বিদ্যুৎ বিল আসে, তা দেখে অনেকেই ঘাবড়ে যান। আসুন এমন এক পদ্ধতি জেনে নেওয়া যাক যার মাধ্যমে আপনি বিদ্যুৎ খরচ কমাতে পারবেন-
সঠিক তাপমাত্রায় এসি ব্যবহার করুনকম তাপমাত্রায় (২০-২২ ডিগ্রি) এসি চালালে কনডেনসারে বেশি চাপ পড়ে ও বিদ্যুৎ খরচ বেড়ে যায়। ২৬-২৭ ডিগ্রি হলো আরামদায়ক ও বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী একটি মাত্রা।
ইকো/পাওয়ার সেভিং মোড ব্যবহার করুনঅধিকাংশ আধুনিক এসি ও কুলারে ‘ইকো’ বা ‘ইনার্জি সেভিং’ মোড থাকে। এটি কম বিদ্যুৎ খরচ করে ঘর ঠান্ডা রাখে। ঘুমানোর সময় পুরো রাত এসি না চালিয়ে ৩-৫ ঘণ্টার টাইমার সেট করুন। ঘর ঠান্ডা হওয়ার পর আর এসি চালানোর দরকার হয় না।
ইনভার্টার এসি বা এনার্জি রেটেড কুলার ব্যবহার করুনইনভার্টার এসি বিদ্যুৎ বাঁচায়। এ ধরনের এসি ঘরের তাপমাত্রা অনুযায়ী নিজের কার্যক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে, তাই একটানা চললেও বিদ্যুৎ খরচ কম হয়। এছাড়া ৫-স্টার রেটিংযুক্ত যন্ত্রপাতি বেছে নিন। এনার্জি রেটিং যত বেশি, বিদ্যুৎ খরচ তত কম। এই যন্ত্রগুলো শুরুতে একটু ব্যয়বহুল হলেও দীর্ঘমেয়াদে সাশ্রয়ী।
ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুনজানালা ও পর্দা ব্যবহার করুন। দক্ষিণ দিকের জানালায় গাঢ় রঙের পর্দা ব্যবহার করলে সরাসরি সূর্যতাপ কম ঢুকবে। এতে এসির উপর চাপ কম পড়ে। ঘরের দেয়াল ও ছাদে তাপ প্রতিরোধক ব্যবহার করুন। রিফ্লেক্টিভ পেইন্ট বা ইনসুলেশন ব্যবহার করলে ঘর কম গরম হবে। দরজা-জানালা সঠিকভাবে বন্ধ রাখুন। এসি চলার সময় দরজা খোলা থাকলে ঠান্ডা বাতাস বাইরে চলে যায়, কনডেনসারে চাপ পড়ে এবং বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়।
ফ্যানের সঙ্গে এসি-কুলার ব্যবহার করুনএকই সঙ্গে সিলিং ফ্যান চালালে ঠান্ডা বাতাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এতে এসি কম সময় চালালেই ঘর ঠান্ডা থাকে, ফলে বিদ্যুৎ কম লাগে।
নিয়মিত পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণএসির ফিল্টার মাসে অন্তত একবার পরিষ্কার করুন। ধুলাবালি জমে গেলে এসি ঠিকমতো কাজ করে না, তখন বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। টেকনিশিয়ান দিয়ে প্রতি বছর একবার সার্ভিসিং করান। গ্যাস লিক বা কম্প্রেসারে সমস্যা থাকলে এসি অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খায়।
দিনের বেলা কুলার ব্যবহার, রাতে ফ্যান/এসিকুলার তুলনামূলকভাবে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। তাই দিনের বেলা এটি ব্যবহার করে রাতের জন্য এসি চালালে মোট খরচ অনেকটাই কমে।
সোলার পাওয়ার ব্যবহার করতে পারেনযাদের বাসায় সোলার প্যানেল আছে, তারা দিনের বেলা এসি-কুলার সোলার বিদ্যুতে চালাতে পারেন। যদিও শুরুতে খরচ বেশি, তবে ভবিষ্যতের বিদ্যুৎ বিল অনেকটা কমে যাবে।
আরও পড়ুনবাড়িতে স্প্লিট এসি পরিষ্কার করবেন যেভাবেগরমে এসি ঘামলে সতর্ক হওয়া জরুরিকেএসকে/জেআইএম