যুবদল নেতা আসিফ শিকদারের হত্যার অভিযোগে শাহআলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলামসহ পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। এ ঘটনার শাহআলী থানার ওসিকে বদলি করা হয়েছে। নতুন ওসি হিসেবে লাইনওআরের নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক কাজী মো. রফিক আহমেদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ বদলি করা হয়। আদেশে শাহআলী থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলামকে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগে বদলি করা হয়েছে।
জানা যায়, রাজধানীর মিরপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ হেফাজতে আসিফ শিকদার নামের একজন যুবদল নেতার মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি, আটকের পর আসিফকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। এ অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ বলছে, অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গত সোমবার ভোরে আসিফের সঙ্গে শাকিল ও সাইফুল নামের আরো দুজনকে আটক করে যৌথবাহিনী। তখন ৩০ রাউন্ড গুলি উদ্ধারের কথা জানিয়ে পুলিশ বলছে, তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
নিহত আসিফের চাচা হারুন শিকদারের জানান, আমার ভাতিজাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। গত রোববার রাত আড়াইটার দিকে মিরপুর ১ নম্বর সড়কে আসিফের বাসায় অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। তাকে আটক করার পর এক রুমে নিয়ে মারধর করা হয়; এ সময় অন্যরুমে তার মা এবং স্ত্রীকে আটকে রাখা হয়। ভোরবেলা তাকে সুস্থভাবে বাসা থেকে বের করার পরেও রাস্তায় ফেলে আবারও মারধর করা হয়। পরে থানায় নেওয়া হয়। এরপর থানার ওসির নেতৃত্বে অত্যাচার করে তাকে মেরে ফেলা হয়।
তিনি বলেন, থানায় আমরা আসিফের চিৎকার শুনতে পাই, সেই সাথে সে পানি পানি বলেছে। কিন্তু তারা পানি দেয়নি। বারবার থানায় ঢোকার চেষ্টা করেও আমাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়, ঢুকতে দেয়নি।
টিটি/এমএএইচ/এমএস