জাতীয় পার্টি ২০২৪ সালে আয় করেছে ২ কেটি ৬৪ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৮ টাকা আর ব্যয় করেছে ১ কোটি ৭৯ লাখ ৮৮ হাজার ৪৪ টাকা। দলটির স্থিতি এখন ৮৪ লাখ ৫০ হাজার ৮৯৪ টাকা।
বুধবার (৩০ জুলাই) জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূইয়া নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদের কাছে ২০২৪-পঞ্জিকা বছরের অডিট রিপোর্ট জমা দেন।
কয়েক বছর দলটির আয়-ব্যয়ে চাঙাভাব না থাকলেও অভ্যুত্থানের বছরে বেড়েছে আয়-ব্যয়।
২০২৪ সালের (১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর) পঞ্জিকাবর্ষের আয়-ব্যয়ের যে হিসাব নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হয়েছে তাতে দেখা গেছে, দলের মনোনয়ন ফরম বিক্রি, সদস্যের চাঁদা, প্রকাশনা বিক্রি ইত্যাদি থেকে দলটি আয় করে। আর ব্যয় হয় প্রচার কার্যক্রম, অফিস কর্মচারীদের বেতন ইত্যাদি খাতে।
প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিবন্ধিত দলগুলোর আগের পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব ইসিতে জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে। এর আগে ভোটের বছর ২০২৩ সালে জাতীয় পার্টি আয় করে দুই কোটি ২২ লাখ দুই হাজার ৪০৫ টাকা। আর ব্যয় করে এক কোটি ১৩ লাখ ১৮ হাজার ৫২৫ টাকা। ২০২২ সালে তাদের আয় হয় ২ কোটি ২৯ লাখ ১৪ হাজার ৯৬৮ টাকা। ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ২৮ লাখ ৩৭ হাজার ৫৪২ টাকা। ব্যাংকে স্থিতি ছিল ১ কোটি ৭ লাখ ৭৭ হাজার ৪২৬ টাকা।
আমরা ফ্যাসিস্টদের দোসর না: জাতীয় পার্টি২০২১ পঞ্জিকা বছরে ব্যাংক জমাসহ ২ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ১৫৪ টাকা আয় দেখিয়েছিল জাতীয় পার্টি। আর ব্যয় দেখানো হয়েছিল ৮৪ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৪ টাকা। বছর শেষে দলটির স্থীতি ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ ১৭ হাজার ২০ টাকা। ২০২০ সালে জাপার ব্যয় ছিল ৭৬ লাখ ৪ হাজার ১২০ টাকা। উদ্বৃত্ত ছিল ৫১ লাখ ৬৮ হাজার ৭৫৭ টাকা ৫৪ পয়সা।
২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালুর পর থেকে প্রতি বছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আগের পঞ্জিকা বছরের (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) আয়-ব্যয়ের হিসাব স্বীকৃত চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিং ফার্ম দিয়ে নিরীক্ষা করে ইসিতে জমা দেয় রাজনৈতিক দলগুলো। বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে বিএনপি, জামায়াত, জাপাসহ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে ৫০টি। প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত থাকায় অডিট রিপোর্ট দেওয়ার বাইরে রয়েছে দলটি। আইন অনুযায়ী পর পর তিন বছর দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে সংশ্লিষ্ট দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে।
এমওএস/এসএনআর/জেআইএম