নতুন টেলিযোগাযোগ আইনে আড়িপাতার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান নিয়ে আসার বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। এরই অংশ হিসেবে ‘টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০১’ সংশোধন করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে টেলিযোগাযোগ বিভাগ কিছু মূলনীতি ঠিক করেছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশনাও দিয়েছে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার টেলিযোগাযোগ বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের বরাতে এ চিঠি পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন
চিঠিতে বলা হয়, ২০০১ সালের টেলিযোগাযোগ আইন এমনভাবে সংশোধন করতে হবে, যেন আড়িপাতাবিষয়ক প্রক্রিয়াকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী কাঠামোবদ্ধ করা যায়। এ ক্ষেত্রে শুধু নির্দিষ্ট সংস্থা গেটওয়ে হিসেবে কাজ করবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বিচারিক অনুমোদন ছাড়া সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারকেও (এনটিএমসি) জবাবদিহির আওতায় রাখতে হবে।
নতুন আইনে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধের বিষয়ে যে কোনো সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগ প্রতিরোধে সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। এ ক্ষেত্রে ২০০১ সালের আইন পরিমার্জন করে এমন একটি কাঠামো গড়ে তোলা হবে, যেখানে নাগরিকের ডিজিটাল অধিকার রক্ষায় আইনি সুরক্ষা থাকবে।
পূর্ণ ক্ষমতা বা সক্ষমতা বাড়ছে বিটিআরসিরবর্তমানে ট্যারিফ নির্ধারণসহ অনেক বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতি প্রয়োজন হয়, যা ভবিষ্যতে কমিয়ে আনা হবে। নতুন আইনে শুধু নীতিগত ও জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের অনুমতির বিধান থাকবে; বাকি বিষয়ে বিটিআরসি পূর্ণ স্বাধীনতা পাবে।
ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা, সাইবার সুরক্ষা, ন্যাশনাল এআই পলিসি এবং ই-কমার্স-সংক্রান্ত আইন ও নীতিমালার সঙ্গে সমন্বয় রেখে নতুন আইন সংশোধন করা হবে।
এমডিএইচআর/ইএ/এমএস