চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার সব বাজারে মাছ ও সবজির দাম বেড়েছে। বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে বলে জানান খুচরা বিক্রেতারা। দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ। তবে স্বাভাবিক রয়েছে মুরগির দাম।
উপজেলার বড়তাকিয়া বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি টমেটো ১৫০ টাকা, দেশি গাজর ৮০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, পটোল ৬০, চিচিঙ্গা ৭০, ধুন্দল ৬০, ঝিঙা ৮০, বরবটি ৮০, কচুর লতি ৭০, মিষ্টি কুমড়া ৪০, কাঁচা মরিচ ১৮০, ধনেপাতা ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে ২৩০ টাকার নিচে কোনো মাছ নেই। সর্বনিম্ন ২৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে পাঙাশ আর তেলাপিয়া। অন্যান্য মাছের দাম আরও বেশি। সাগরের বিভিন্ন মাছের দাম আকাশছোঁয়া। ইলিশের দাম তো ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২২০০-২৫০০ টাকা। জাটকা বিক্রি হচ্ছে ১০০০-১২০০ টাকা দরে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাঙাশ মাছ কেজি ২৩০-২৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। শিং ৫০০-৬০০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ টাকা, বাইম ৮০০ টাকা, রুই মাছ আকৃতি ভেদে ৩০০-৩৫০ টাকা, বড় কাতল মাছ ৪৫০ টাকা, ছোট কাতল ২৮০ টাকা, কার্প মাছ ২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পাবদা মাছ কেজি ৩৫০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৮০০ থেকে আকার ভেদে ১০০০ টাকা ও মলা মাছ ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মুরড়ির দাম আগের মতো রয়েছে। ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১৫০ টাকা, সোনালি ২৮০ ও লেয়ার মুরগি ৩৩০ টাকা কেজি।
বাজার করতে আসা মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন জানান, এক কেজি পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা। তেলাপিয়াও একই দাম। বাজারের সবচেয়ে কম দামি মাছ এই দুইটাই। রুই, কাতলা কিংবা টেংরার দিকে হাত দেওয়াই যায় না। সেগুলো নিলে ৩৫০-৬০০ টাকার বাজেট লাগবে।
মিরসরাই সদরের মাছ বিক্রেতা মোহাম্মদ মনছুর বলেন, মাছের বাজার আগের তুলনায় একই আছে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়ে গেছে। আমরাও বেশি টাকায় কিনেছি। তাই বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা মো. সোহরাব হোসেন বলেন, বৃষ্টির কারণে সবজির সরবরাহ কম থাকায় আড়ত থেকে বেশি দামে কিনতে হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করছি আমরা।
এম মাঈন উদ্দিন/জেডএইচ/এমএস