জাতীয়

জুলাই আন্দোলনে ড্যাবের সাহসী ভূমিকা ছিল: মেয়র শাহাদাত

জুলাই আন্দোলনে ড্যাবের সাহসী ভূমিকা ছিল বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে পেশাজীবীদের, বিশেষ করে চিকিৎসকদের ভূমিকা অত্যন্ত সাহসিকতাপূর্ণ ও প্রশংসনীয়। ড্যাব সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। একদলীয় শাসনের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষায় ড্যাবের ভূমিকাই প্রমাণ করে, এই সংগঠন কেবল একটি চিকিৎসক সংগঠন নয়, এটি একটি আদর্শিক লড়াইয়ের শক্ত ঘাঁটি।

মেয়র বলেন, হাসিনা সরকার পতনের লক্ষ্যে এক দফার আন্দোলনে আহত নেতাকর্মীদের পাশে চিকিৎসাসেবা নিয়ে ছুটে গেছেন ড্যাবের সাহসী চিকিৎসকরা। তাদের এই অবদান ইতিহাসে স্থান পাবে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় নগরীর প্রবর্তক এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) নির্বাচন ২০২৫ উপলক্ষে ডা. হারুন, ডা. কেনান, ডা. শাকিল, ডা. মেহেদী ও ডা. দীপু পরিষদের প্যানেল পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী চিকিৎসক সমাজ, চট্টগ্রাম এই সভার আয়োজন করে।

ডা. শাহাদাত বলেন, সামনে যে নির্বাচন আসছে তা শুধু একটি সংগঠনের অভ্যন্তরীণ নির্বাচন নয়, এটি বৃহত্তর গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ। ড্যাবকে শক্তিশালী করতে হবে, কারণ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে এই সংগঠনের ভূমিকা অগ্রগণ্য।

সভায় চট্টগ্রামের বিশিষ্ট চিকিৎসক নেতা, জাতীয়তাবাদী চিকিৎসক সমাজের প্রতিনিধি ও ড্যাবের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আলীমের সভাপতিত্বে ও ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. এস এম সারোয়ার আলমের পরিচালনায় সভায় সভাপতি পদপ্রার্থী অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী অধ্যাপক ডা. আবুল কেনান, কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী ডা. মেহেদী হাসান, ড‍্যাব চমেক শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. জসিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দীন আহমেদ মানিক, মহানগর শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. আব্বাস উদ্দীন, পাটকল শ্রমিকদল কেন্দ্রীয় সভাপতি সাঈদ আল নোমান, ডা. রেজাউল আলম নিপ্পন, উপদেষ্টা ডা. আশরাফুল কবির ভূঁইয়া, চমেক সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়েজুর রহমান, জেলা সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, পার্বত্য জেলা কমিটির সভাপতি ডা. নীলু কুমার তন্চ‍্যাঙ্গা, ডা. একেএম জাফরুল হক, অধ্যাপক ডা. ইকবাল হোসেন, অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান, ডা. মনোজ কুমার বড়ুয়া, ডা. হোসনা আরা, ডা. টিপু সুলতান, অধ্যাপক ডা. মাসুদ করিম, ডা. মিজবাহ উদ্দিন ডা. মো.আইয়ুব, ডা. জুনায়েদ মাহমুদ খান, খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. সাবের আহমেদ, ডা. শাহনেওয়াজ সিরাজ মামুন, ডা. তানভীর হাবিব তান্না, ডা. ইফতেখার মো. আদনান, ডা. মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, ডা. মিনহাজুল আলম, ডা. জুনায়েদ রায়হান, ডা. সাদ্দাম হোসেন, ডা. মেহেদি হাসান, ডা. মো. মইনুদ্দিন, ডা. তারেকুল ইসলাম জনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রফিক হায়দার/ইএ