এরপর চুপ হয়ে গেলাম—পুরো পৃথিবী যখন আমাকে রুখে দিতে উদ্যত—তখন আকাশে শূন্যকে মৃদুস্বরে বার্তা পাঠালাম—‘তোমার কি আছে কোনো শর্তারোপ?কোনো রেজিমেন্ট রুল জারি?সৈন্য-সামন্ত?’
আকাশ বললো—‘নেই, আমি নিঃশর্ত—অপলক চেয়ে থাকো—এই শূন্যেই খুঁজে পাবে তাকে—সেই অবুঝ, বিবর্ণ অবয়ব—’আনন্দে হেসে ফেললাম,হাসির অভাবটুকু চোখে সঞ্চারিত হলো—তখন বর্ষণ শুরু হলো চোখে-হৃদয়ে—অদ্ভুত, প্রভাববিস্তারকারী—
আকাশে শূন্যই শুধু—নেই নিয়মের নিষ্ঠুরতম বাস্তবতা—সেই শূন্যেই খুঁজে যাবো,পৃথিবীতে আজ অসহায় নিঃশর্ত ভাষ্য,পৃথিবীতে অথৈ শর্ত কীরণ,অনন্তকাল খুঁজে যাবো তাই—আকাশে শূন্য পরিসরে।
হয়তো আকাশ মেঘের হয়ে শর্ত আরোপ করবে না।তাই পৃথিবীর বিচরণস্থলে আমি নেই।যেখানে শর্তেই রেজিমেন্ট রুল জারি।নিঃশর্ত বিদীর্ণ খোলা আকাশেই তোমাকে খুঁজে যাবো।চেয়ে আছি অপলক,মেঘের আস্তরণে তোমারই অবুঝ বিবর্ণ অবয়ব।
অনুভব কেড়ে নেওয়া যায় না কখনো,যা গড়ে ওঠে অগাধ শর্তহীনতায়।দেখার অধিকার না-ও দিতে পারে পৃথিবী—পৃথিবীর তো সৈন্য-সামন্ত আছে।তাই আমি আর দেখবো না পৃথিবীর বিচরণ স্থলে তোমাকে কোনোদিন;আকাশের দিকে চেয়ে থাকা যাবে,সেখানে দেখবো অপলক—তোমার অবুঝ, বিবর্ণ অবয়ব।
এসইউ/জিকেএস