বাংলাদেশে গত বছরের আগস্টে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে উত্তেজনার জেরে পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যায় ভাটা পড়েছিল। তাতে মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন কলকাতা নিউমার্কেট চত্বরের ব্যবসায়ীরা।
যদিও তারা আশা করেছিলেন, দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। কিন্তু এরপর ভিসা জটিলতার কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যায়। ভারতে আসার জন্য শুধু চিকিৎসাজনিত ভিসা ছাড়া অন্য কোনো ভিসা মিলছিল না এবং সেই সংখ্যাও ছিল সামান্য।
ওইসময় বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন মেডিকেল ভিসায় ৭০-৮০ জনের মতো পর্যটক কলকাতায় আসতেন। পরে সেই সংখ্যা কিছুটা বেড়ে ৫০০তে গিয়ে ঠেকে।
আরও পড়ুন>>
ইমিগ্রেশন সূত্র জানা গেছে, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। প্রতিদিন এক হাজার থেকে ১ হাজার ৭০০ পর্যটক পশ্চিমবঙ্গে আসছেন। বেশিরভাগেরই উন্নত চিকিৎসার জন্য কলকাতায় আসা।
কলকাতার নিউমার্কেট চত্বরে খাবারের হোটেলের ম্যানেজার মোহাম্মদ সাহেব শেখ জাগোনিউজকে জানান, খাতা-কলমে বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যা বাড়লেও বাস্তবে সেভাবে চোখে পড়ছে না। যদি সেভাবে বাড়তো, তাহলে আমাদের এখানে ব্যবসায় উন্নতি হতো।
সাহেব আরও বলেন, আমাদের হোটেলে যে কয়জন লোক খেতে আসেন, তাদের বেশিরভাগই বাংলাদেশি পর্যটক। তবে সেই সংখ্যা সামান্যই। তারা সবাই চিকিৎসাজনিত কারণে কলকাতায় আসছেন। যতদিন না পর্যটক ভিসা ঠিকভাবে চালু হচ্ছে, ততদিন বাংলাদেশি অতিথিদের সংখ্যা সেভাবে বাড়বে না। আমরা আশা করছি, দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।
নিউমার্কেট এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে কর্মচারী গোপাল বিশ্বাস জানান, সম্প্রতি কলকাতায় বাংলাদেশি পর্যটক কিছুটা বেড়েছে, তবে সেই সংখ্যাটা সামান্যই। আমাদের হোটেলেও পর্যটক আসছেন খুবই কম। হয়তো আগের তুলনায় একটু বেশি। মাঝে বাংলাদেশি পর্যটক একদমই ছিল না, সেই পরিস্থিতি এখন নেই। আমরা আশা করবো, ভিসা সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে।
দক্ষিণ ভারতে উন্নত চিকিৎসার জন্য আসা ঢাকার বাসিন্দা রফি আহমেদ জানান, ভারতে এসেছি প্রায় ২১ দিন হলো। দক্ষিণ ভারতের ভেলোরে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলাম, ফেরার পথে কলকাতায় কয়েকদিন থেকে গেলাম। এখানে বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যা সামান্য বেড়েছে মনে হলো। চিকিৎসার পাশাপাশি পর্যটক ভিসা পেলে এই সংখ্যাটা হয়তো আরও বাড়বে।
ডিডি/কেএএ/