বাংলাদেশ থেকে কাঁচাপাট আমদানি নিষিদ্ধ, খুশি নন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৯:৪৮ পিএম, ২৯ জুন ২০২৫
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত/ ছবি: এএফপি (ফাইল)

নিজেদের সব স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে কাঁচা পাট, পাটের রোল, পাটের সুতা, বোনা ফ্লেক্স কাপড় ও বিশেষ ধরনের কাপড়সহ নয় ধরনের পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত সরকার। শনিবার (২৮ জুন) থেকে তা কার্যকর হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞ জারি করার ফলে ভারতের বিভিন্ন স্থলবন্দরভিত্তিক অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়বে। এছাড়া কাঁচাপাট না এলে সমস্যায় পড়বে দেশটির বিভিন্ন চটকল।

এর আগে গত ১৭ মে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফল ও ফলের স্বাদযুক্ত পানিও, কোল্ড ড্রিঙ্কস, প্লাস্টিক, কাঠের আসবাবপত্র, সুতা, সুতা দিয়ে তৈরি জিনিস আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ভারত সরকার। তার আগে ৯ এপ্রিল কলকাতা বিমানবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো কাঁচা পাট ও কিছু পাটপণ্য। ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, পরিস্থিতি আরও অবনতি হলে বন্ধ হতে পারে ভারতের বহু চটকল।

এদিকে, নতুন এই নিষেধাজ্ঞায় মোটেই খুশি নন চটকলের শ্রমিক থেকে মালিকপক্ষ। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার জগদ্দলের জুট মিলের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি ওমপ্রকাশ পান্ডে জানিয়েছেন, কাঁচাপাট আসা বন্ধ হলে পণ্যটির দাম বাড়বে ও সমস্যায় পড়বে চটকলগুলো। পাটজাত পণ্যের জন্য উচ্চমানের পাট আসে বাংলাদেশ থেকে। ভারতে পাট কম উৎপন্ন হয়। ওমপ্রকাশ পান্ডে আরও বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে এ বিষয় নিয়ে চিঠি দেবো।

ভারতের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পেট্রাপোল স্থলবন্দর এই স্থলবন্দর দিয়ে দিনে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ ট্রাক বাংলাদেশ থেকে কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্য ভারতে আসতো। এ নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার ফলে সেই সংখ্যা এখন কমার অপেক্ষা মাত্র।

পেট্রাপোল স্থলবন্দরের ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানিয়েছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে বাণিজ্য আগেই কমে গিয়েছিল। এবার এই নিষেধাজ্ঞার কারণে আরও ব্যাপক প্রভাব পড়তে চলেছে। এরই মধ্যে পেট্রাপোল বন্দর ঘিরে তৈরি হওয়া আর্থিক কর্মকাণ্ডে ধাক্কা লেগেছে। ফলে এই নিষেধাজ্ঞায় দুই দেশের অর্থনীতিতেই প্রভাব পড়বে।

ডিডি/এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।