জাতীয়

গ্রিন চট্টগ্রাম গড়তে লাগানো হবে ১০ লাখ গাছ: ডা. শাহাদাত

চট্টগ্রামে পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে ১০ লাখ গাছ রোপণের ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

শনিবার (৯ আগস্ট) বাকলিয়া কল্পলোক আবাসিক এলাকা (২য় পর্যায়) প্লট মালিক কল্যাণ সমিতির খেলার মাঠ প্রাঙ্গণে আয়োজিত বৃক্ষরোপণ অভিযান-২০২৫ এ ঘোষণা দেন মেয়র।

সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ক্লিন ও গ্রিন চট্টগ্রাম গড়ার লক্ষ্যে চট্টগ্রামে পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে ১০ লাখ গাছ রোপণে কাজ করছি। নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডকে সবুজায়নের মাধ্যমে সৌন্দর্যমণ্ডিত করার কাজ শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অর্থায়নের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনকেও কাজে লাগানো হচ্ছে সবুজায়নে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং পাহাড়ি অঞ্চলগুলোর জন্য এখানে গাছের গুরুত্ব আরও বেশি। শহরের দ্রুত বৃদ্ধির সঙ্গে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকার গাছপালা শুধু পরিবেশের সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করে না, তা ভূমি ক্ষয় রোধ, বন্যা ও ভূমিধস প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে নগরীর আশপাশের বনভূমি ও সবুজ অঞ্চলগুলো রক্ষা করা, নদী ও সমুদ্রের তীরবর্তী এলাকায় গাছ রোপণ করা, এই সব উদ্যোগ চট্টগ্রামের পরিবেশ ও বাসযোগ্যতা উন্নত করতে সহায়তা করবে। গাছ কেবল পরিবেশের শোভা নয়, চট্টগ্রামের মানুষের জীবনযাত্রারও একটি অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ এটি শহরের জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং নিঃসন্দেহে চট্টগ্রামকে আরও সবুজ, নিরাপদ এবং বাসযোগ্য করে তোলে।

মেয়র বলেন, আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করতে হবে, তাই বন উজাড়, পাহাড় কাটা এবং গাছ কাটা থেকে বিরত থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের কর্মকাণ্ড রোধে শক্তিশালী আইন প্রণয়ন এবং তার কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি। উদাহরণস্বরূপ, কানাডার টরন্টো শহরে অনুমতি ছাড়া গাছ কাটলে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। আমাদের দেশেও এমন শাস্তির বিধান থাকা প্রয়োজন, যাতে পরিবেশের ক্ষতি কমানো যায় এবং প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক শক্তিশালী হয়।

প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামাল হোসাইনের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম, আবদুর রহমান, মুমিনুল হক, এস.এম.কায়সার, অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান, নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

এসএনআর/এমএস