দেশজুড়ে

চুয়াডাঙ্গায় গভীর রাতে দুই বাড়িতে ডাকাতি

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় একই রাতে দুটি বাড়িতে ভয়াবহ ডাকাতি ও চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শহরের বনানীপাড়া ও বুজরুকগড়গড়ি মাদরাসা পাড়ায় সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতকারীরা এই ঘটনা ঘটায়।

তারা পরিবারের সদস্যদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে, প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং মূল্যবান স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগী পরিবার দুটি পৃথকভাবে শুক্রবার (২১ আগস্ট) চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বনানীপাড়ায় দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সংঘবদ্ধ ডাকাতরা সাবুর আলীর (৪৫) বাড়িতে প্রবেশ করে। সাবুর আলী তখন নাইট ডিউটিতে ছিলেন। ডাকাতরা সাবুর আলীর স্ত্রী সাবানা (৩৫) ও মেয়ে জান্নাতি (১৫)-সহ অন্যান্য পরিবারের সদস্যদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

জান্নাতি জানান, হঠাৎ ঘুমের মধ্যে একজন এসে আমার মুখ চেপে ধরে। আমি ভীত হয়ে জিজ্ঞেস করি, ‘আপনি কে?’ তখন সে বলে, ‘চিল্লাবা না, চিল্লালে তোমার বাবাকে ছুরি দিয়ে খুন করে ফেলব।

সাবানা বলেন, ‘তাদের হাত থেকে বাঁচতে আমি অসহায় ছিলাম। তারা মুখে চড় মেরে জোর করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ নিয়ে গেছে। আমরা আতঙ্কিত।’

প্রতিবেশী চুমকি সুলতানা জানান, রাতে চিৎকার শুনে দৌঁড়ে এসে দেখি পরিবারের সবাই কান্নাকাটি করছে। তখনই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ভুক্তভোগী পরিবার দাবি করেছেন, ডাকাতরা ৪–৫ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ লুট করেছে।

একই রাতে শহরের বুজরুকগড়গড়ি মাদরাসা পাড়ায় মো. রিপন হোসেনের (৩৮) বাড়িতেও অজ্ঞাতপরিচয় চোরেরা প্রবেশ করে। তারা আলমারি ও অন্যান্য সংরক্ষিত স্থান থেকে প্রায় ৬০ হাজার টাকা নগদ অর্থ ও ১ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে। চুরি হওয়া স্বর্ণালঙ্কারের মধ্যে ছিল এক জোড়া বালা, তিন জোড়া কানের দুল, এক জোড়া আংটি ও একটি নাকফুল। এছাড়া ঘরে রাখা একটি ছোট টিনের ব্যাংক ভেঙে আরও প্রায় ৫–৭ হাজার টাকা চুরি হয়।

ভুক্তভোগী রিপন হোসেন বলেন, ‘রাতের অন্ধকারে এই ঘটনা আমাদের জন্য আতঙ্কের। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি খালেদুর রহমান জানিয়েছেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

এ ঘটনায় পৌর এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তা জোরদারের দাবি উঠেছে।

হুসাইন মালিক/এমআরএম