বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন করে ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এজন্য ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধনের সীমা বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা করা হয়েছে, যা আগে ছিল ১২৫ কোটি টাকা।
রোববার (২৪ আগস্ট) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর আগে ১২৫ কোটি টাকা মূলধন দরকার ছিল, এখন লাগবে ৩০০ কোটি টাকা। প্রচলিত ব্যাংকের জন্য প্রয়োজন ৫০০ কোটি টাকা। ডিজিটাল ব্যাংকের শাখা, এটিএম বা সিডিএম থাকবে না—সব সেবা হবে অ্যাপনির্ভর। বড় শিল্পে ঋণ দেওয়া যাবে না, কেবল ছোট ঋণ অনুমোদিত। অনুমোদনের পাঁচ বছরের মধ্যে আনতে হবে আইপিও।
আরও পড়ুন নতুন ডিজিটাল ব্যাংক দেওয়ার উদ্যোগ, সিদ্ধান্ত ২৭ আগস্টডিজিটাল ব্যাংক হবে স্থাপনাবিহীন, সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক। গ্রাহকেরা ২৪ ঘণ্টা অ্যাপ বা মোবাইল ডিভাইসে ব্যাংকিং সেবা পাবেন। তবে কোনো প্লাস্টিক কার্ড ইস্যু করা যাবে না; পরিবর্তে ভার্চুয়াল কার্ড, কিউআর কোডসহ আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক সেবা থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, ডিজিটাল ব্যাংক কোনো এলসি খুলতে পারবে না এবং বড় বা মাঝারি শিল্পে ঋণ দেওয়ার অনুমতিও থাকবে না। শুধু ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া যাবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অনুমোদনের পাঁচ বছরের মধ্যে প্রতিটি ডিজিটাল ব্যাংককে আইপিও আনতে হবে, যার পরিমাণ উদ্যোক্তাদের প্রাথমিক বিনিয়োগের সমান হতে হবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ডিজিটাল ব্যাংক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারত ও পাকিস্তান ২০২২ সালেই ডিজিটাল ব্যাংক চালু করেছে।
ইএআর/ইএ/জিকেএস