প্রথম দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ হাতছাড়া হয়েছিল আগেই। কিন্তু সিরিজ জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকাকে অবশ্য তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে দাঁড়াতেই দিল না অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাট করে ২ উইকেট হারিয়ে ৪৩১ রান করলো অস্ট্রেলিয়া। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকাকে অলআউট করে দিল ২৪.৫ ওভারে মাত্র ১৫৫ রানে। ২৭৬ রানে জয় তুলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়ার বিশাল এই জয়ের ম্যাচে তৈরি হয়েছে বেশ কিছু রেকর্ড।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করেতে নেমে ট্রাভিস হেড এবং মিচেল মার্শের দাপটে চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই অসি ওপেনার শুরু থেকেই মেরে খেলতে থাকেন। বেশি আগ্রাসী ছিলেন হেড। তিনি ১৭টি চার এবং ৫টি ছয়ের সাহায্যে ১০৩ বলে ১৪২ করেন। মার্শ ৬টি চার এবং ৫টি ছয়ের সাহায্যে ১০৬ বলে ১০০ করেন।
তিনে নামা ক্যামেরন গ্রিন আরও বিধ্বংসী ব্যাট করেন। ৬টি চার এবং ৮টি ছক্কা মেরে ৫৫ বলে ১১৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। অ্যালেক্স ক্যারে ৩৭ বলে ৫০ করেন। জবাবে কুপার কনোলির স্পিনে দক্ষিণ আফ্রিকা ১৫৫ রানে শেষ হয়ে যায়। ৬ ওভারে ২২ রানে ৫ উইকেট নেন কনোলি। সর্বোচ্চ রান করেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, ৪৯।
কী কী রেকর্ড হলো এই ম্যাচে?
১) ২৭৬: একদিনের ক্রিকেটে রানের ব্যবধানে দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় হার এটা। এর আগে ২০২৩ বিশ্বকাপে ভারতের কাছে ২৪৩ রানে হেরেছিল তারা। একদিনের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম জয় এটা। সবার উপরে রয়েছে ২০২৩-এ নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ৩০৯ রানে জয়।
২) ৪৩১/২: একদিনের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। আগে রেকর্ড ৪৩৪/৪। সেটাও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে, ২০০৬ সালে।
৩) ২: অস্ট্রেলিয়ার প্রথম তিন ব্যাটারই শতরান করেছেন। ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার এমন ঘটনা ঘটলো। প্রথমবার হয়েছিল ২০১৫ সালে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে। দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলা (১৫৩*), রাইলি রুশো (১২৮) ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের (১৪৯) ব্যাটে ৪৩৯/২ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
৪) ২৫০: ট্রাভিস হেড এবং মিশেল মার্শের ওপেনিং জুটিতে ওঠা রান একদিনের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে পঞ্চম সর্বোচ্চ জুটি। শেষবার ডাবল সেঞ্চুরি জুটি হয়েছিল ২০২৩-এ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও প্যাট কামিন্স- মুম্বাইতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
৫) ৪৭: একদিনের ক্রিকেটে প্রথম শতরান করতে এত সংখ্যক বল খেলেন ক্যামেরন গ্রিন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি এটি। সবার আগে ২০২৩ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ৪০ বলে শতরান করেন।
৬) ২২ বছর ২ দিন: একদিনের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার তরুণতম বোলার হিসাবে, ২২ বছর ২ দিন বয়সে পাঁচ উইকেট নিলেন কুপার কনোলি। পেরিয়ে গেলেন ক্রেগ ম্যাকডারমটকে। তিনি পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন ২২ বছর ২০৪ দিন বয়সে।
৭) ২২/৫: একদিনের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার কোনও স্পিনারের সেরা বোলিং ফিগার। পেরিয়ে গেলেন ২০০৫- সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ব্র্যাড হগের ৫/৩২-কে।
আইএইচএস/