বাইকের জগতে আকর্ষণীয় এবং জনপ্রিয় বাইক সংস্থা হচ্ছে রয়্যাল এনফিল্ড। ইতিহাস, ঐতিহ্য, গুণগত মান এবং স্থায়ীত্বের কারণে রয়েল এনফিল্ড বাইকের খ্যাতি রয়েছে। বেশি সিসির শক্তিশালী ইঞ্জিন এবং স্টাইলিশ লুকের কারণে তরুণদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে বাইকটি।
দেশে রয়্যাল এনফিল্ডের কোন মডেলগুলো সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় এবং জনপ্রিয় জানেন কি? আসুন জেনে নেওয়া যাক-
রয়্যাল এনফিল্ড ক্ল্যাসিক ৩৫০রয়্যাল এনফিল্ড ক্ল্যাসিক ৩৫০ একটি জনপ্রিয় মোটরসাইকেল মডেল, যা তার ঐতিহ্যবাহী ডিজাইন, যেমন রাউন্ড হেডল্যাম্প, রাউন্ড মিরর এবং বাদামের আকারের ফুয়েল ট্যাঙ্কের জন্য পরিচিত। এটি একটি ৩৫০সিসি শক্তিশালী ইঞ্জিন দ্বারা চালিত। জে-সিরিজের একক সিলিন্ডার ইঞ্জিন, ২০.২বিএইচপি @ ৬১০০ আরপিএম এবং ২৭এনএম টর্ক উৎপন্ন করে। বাইকে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস ব্রেকিং সিস্টেম এবং টিউবলেস টায়ার রয়েছে, যা ব্রেকিং-এর সময় আরও নিরাপত্তা প্রদান করে।
রয়্যাল এনফিল্ড মেটেওর ৩৫০রয়্যাল এনফিল্ড মিটিওর ৩৫০ একটি ক্লাসিক রেট্রো ডিজাইনের ক্রুজার মোটরসাইকেল, যা আরামদায়ক রাইডিং এবং নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্সের জন্য পরিচিত। এতে আছে জে-সিরিজ ৩৪৯সিসি এয়ার-অয়েল কুলড ইঞ্জিন, ডুয়াল চ্যানেল এবিএস সহ ডিস্ক ব্রেক, এবং টিউবলেস টায়ার। এটি দীর্ঘ যাত্রার জন্য আরামদায়ক, হালকা ওজনের এবং শহরের রাস্তায় সহজে চালানোর জন্য উপযুক্ত একটি বাইক।
রয়্যাল এনফিল্ড বুলেট ৩৫০রয়্যাল এনফিল্ড বুলেট ৩৫০ একটি ক্লাসিক ডিজাইনের ৩৫০ সিসি-র ক্রুজার বাইক যা তার ঐতিহ্যবাহী লুকের জন্য পরিচিত। এতে একটি শক্তিশালী ৩৪৯ সিসি-র ইঞ্জিন রয়েছে, যা প্রায় ২০.২ বিএইচপি শক্তি এবং ২৭ এনএম টর্ক উৎপাদন করে। এই বাইকটি সাধারণত দীর্ঘ সময়ের জন্য নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্স এবং আরামদায়ক রাইডিং অভিজ্ঞতার জন্য পরিচিত।
রয়্যাল এনফিল্ড হান্টার ৩৫০এটি একটি রোডস্টার মোটরসাইকেল যা রয়্যাল এনফিল্ড দ্বারা ২০২২ সালে লঞ্চ করা হয়েছিল। এটি একটি আরামদায়ক ও শক্তিশালী বাইক, যা ৩৪৯ সিসি বিএস৬ ইঞ্জিন, ২০.২ বিএইচপি শক্তি, এবং ২৭এনএম টর্ক উৎপন্ন করে। এতে রয়েছে স্লিপ-অ্যাসিস্ট ক্লাচ, প্রোগ্রেসিভ সাসপেনশন, এবং এলইডি হেডলাইট। মেট্রো ভেরিয়েন্টে হ্যাজার্ড লাইট এবং ডুয়াল চ্যানেল এবিএস ব্রেকিং সিস্টেম থাকে।
রয়্যাল এনফিল্ড হিমালয়ানএটি একটি অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিং মোটরসাইকেল, যা বিভিন্ন সিসি ইঞ্জিন যেমন ৪১১ সিসি এবং নতুন ৪৫০ সিসি ভেরিয়েন্টে পাওয়া যায়। এটি অফ-রোডিং এবং লম্বা দূরত্বের ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত একটি বাইক। এর ওজন এবং ভারসাম্য এটিকে রাস্তায় দৃঢ়তা দেয় এবং এর আরামদায়ক সিট ও সাসপেনশন দীর্ঘ রাইডের জন্য আরামদায়ক। বাইকটি বিভিন্ন রঙের পাওয়া যায় এবং বাংলাদেশের বাজারে এর দাম প্রায় ৬ লাখ ৩০ হাজার থেকে ৬ লাখ ৫ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন বৃষ্টিতে বাইকের সাইলেন্সারে পানি ঢুকলে কী করবেন? বাইকের ‘এবিএস সিস্টেম’ আসলে কী জানেন?কেএসকে/জিকেএস