বাইকের ‘এবিএস সিস্টেম’ আসলে কী জানেন?

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:১০ পিএম, ২৮ জুন ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত

বাইক কেনার সময় কিংবা নতুন বাইক এলে তাতে এবিএস সিস্টেম বা এবিএস ফিচার আছে কি না তা দেখে নেন। বাইকের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফিচার এটি। এবিএস বা অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম। মোটরসাইকেলে এমন সব বৈশিষ্ট্য বা ফিচার দেওয়া হয়, যা রাইডিংয়ের অভিজ্ঞতাকে আরও ভালো এবং উন্নত করে তোলে। তার মধ্যে এটি একটি।

যখন কেউ বাইক চালান, তখন তাকে ব্রেক কষতেই হয় বা ব্রেক ব্যবহার করতেই হয়। আসলে মোটরসাইকের যাতে পিছলে না যায়, সেই দিকটা প্রতিরোধ করার কাজ করে এবিএস সিস্টেম। যে বাইকে এই সিস্টেম ইনস্টল করা থাকে, তা সহজেই পিছলে পড়ে যায় না।

বিজ্ঞাপন

অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেমের তিনটি অংশ রয়েছে। আর সেই তিনটি অংশ হলো-ইসিইউ কিট, ব্রেক এবং হুইল স্পিড সেন্সর। আর এই সব কটিই ইনস্টল করা থাকে বাইকের সামনের এবং পেছনের চাকায়। আসলে স্পিড সেন্সর চাকার লক আপ মনিটর করে। আচমকা ব্রেক কষার প্রয়োজন হলে এই জিনিসটি একটি নির্দিষ্ট দূরত্বেই চাকাটিকে প্রতিরোধ করে।

এবিএসের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, বাইক আরোহী যত দ্রুতই বাইক চালান না কেন, এতে লাগানো ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল ইউনিট বাইকটিকে পিছলে পড়ে যেতে দেয় না এবং এটি দুর্ঘটনার ঝুঁকিও হ্রাস করে। শুধু তাই নয়, বাইকের স্ক্রিনে একটি আলো ভেসে ওঠে। আর এই আলোটিই নির্দেশ করে যে, এই সিস্টেমটি ঠিকভাবে কাজ করছে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

বাইকের এই ফিচারটির জন্য জরুরিকালীন অবস্থায় ব্রেক কষলে কিংবা এমার্জেন্সি ব্রেকিংয়ের ক্ষেত্রে বাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে না। এমনকি বাইক যত বেশি স্পিডেই থাকুক না কেন, তা সত্ত্বেও বাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারায় না। আর বাইকটি পিছলে যায় না। এর পাশাপাশি বাইকটি একটি সরলরেখায় থামার ক্ষেত্রেও এটি সহায়ক হয়ে ওঠে। ফলে দুর্ঘটনাও রোধ হয়।

কেএসকে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।