ক্রিকেটের বিখ্যাত যে কয়টি ভেন্যু রয়েছে, তার মধ্যে জিম্বাবুয়ের হারারে স্পোর্টস ক্লাব মোটেও পড়ে না। লন্ডনের লর্ডস, দ্য ওভাল, এজবাস্টন, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন, সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজের জ্যামাইকায় অবস্থিত সাবিনা পার্ক, দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়াম, সেঞ্চুরিয়ন, ভারতের মুম্বাই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম, বর্তমান সময়ের আহমেদাবাদের মোতেরা কিংবা আরব আমিরাতের শারজাহ স্টেডিয়ামকে ক্রিকেটের আইকনিক বলা যায়। সে তালিকায় হারারে স্পোর্টস ক্লাবকে কোনোভাবেই আনা সম্ভব নয়।
কিন্তু একটি জায়গায় অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডকে (এমসিজি) ছাড়িয়ে গেলো জিম্বাবুয়ের হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজনের নিরিখে বুধবার রাতে এমসিজিকে পেছনে ফেলেছে হারারে।
এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বমোট ২৮৮টি ম্যাচ আয়োজন করেছে অস্ট্রেলিয়ার এমসিজি। বুধবার রাতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-২০ ম্যাচ দিয়ে পেছনে ফেলেছে এমসিজিকে। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠ আয়োজন করেছে ২৮৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
দীর্ঘদিন ধরেই হারারে জিম্বাবুয়ে জাতীয় দল ছাড়াও বিভিন্ন সহযোগী দেশের সিরিজ, আইসিসি কোয়ালিফায়ার ও নানা টুর্নামেন্ট আয়োজন করে আসছে। ফলে ম্যাচ সংখ্যায় দিন দিন এগিয়ে গেছে এই ভেন্যুটি। অন্যদিকে, এমসিজি ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ভেন্যুগুলোর একটি হলেও, সেখানে মূলত টেস্ট, বক্সিং ডে ম্যাচ, সীমিতসংখ্যক ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি এবং বড় টুর্নামেন্টের ম্যাচ আয়োজন করা হয়। এর ফলে এমসিজির ম্যাচ সংখ্যা অন্যদের চেয়ে ধীরে ধীরে কমে আসতেছে।
ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মতে, হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠের এই অর্জন প্রমাণ করে যে ছোট ভেন্যুগুলোও বিশ্ব ক্রিকেটে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। হারারের এই রেকর্ড জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট ইতিহাসে যেমন গৌরবময় অধ্যায় যোগ করেছে, তেমনি বিশ্ব ক্রিকেটে দেশটির অবিচল উপস্থিতির প্রতীকও বটে।
আইএইচএস/