ফরিদপুর শহরের হোটেল রাজস্থানের সামনে একই নম্বর প্লেটের পাঁচটি প্রাইভেটকারের দেখা মিলেছে। পরে পুলিশ প্রাইভেটকারগুলো পুলিশ লাইনে নিয়ে যায়। তবে কোনো গাড়ির মূল মালিক এবং কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শহরের গোয়ালচামট পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার হোটেল রাজস্থানের সামনে থেকে গাড়িগুলো হেফাজতে নেয় পুলিশ। এর আগে সকাল থেকে সারাদিন গাড়িগুলো নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা চলতে থাকে।
পুলিশ জানায়, হোটেল রাজস্থানের সামনে সারিবদ্ধভাবে রাখা পাঁচটি নতুন প্রাইভেটকার দেখা যায়। গাড়ি নম্বর প্লেটগুলো একই। এসময় স্থানীয়রা থানা ও ট্রাফিকে খবর দেয়। পরে গাড়িগুলো থানায় নেওয়া হয়।
হোটেল রাজস্থানের ম্যানেজার মো. মহিউদ্দিন জানান, একই রকমের পাঁচটি প্রাইভেটকার বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে হোটেলের সামনে আসে। গাড়িগুলোতে চালকসহ ১৮ জন আরোহী ছিলেন। তাদের ভাষ্যমতে শহরের কমলাপুর এলাকায় একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট উদ্বোধনের জন্য এসেছিলেন তারা। সকালে গাড়িগুলো দেখে উৎসুক জনতা ভিড় করে এবং পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গাড়িগুলো থানায় নিয়ে যায়।
ফরিদপুর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) খুরশিদ আলম শিকদার বলেন, গাড়িগুলোর শোরুম কিংবা গ্যারেজ নম্বরের সঠিক কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। পরে সেগুলো কোতোয়ালি থানা পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। গাড়ির সঠিক কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটিকে (বিআরটিএ) জানানো হবে। শোরুম নম্বর অথবা শুধু গ্যারেজ নম্বর দিয়ে গাড়িগুলো রাস্তায় চলাচলের নিয়ম নেই। এ ধরনের নম্বর প্লেট গাড়িগুলো শুধুমাত্র শোরুম থেকে গ্যারেজ পর্যন্ত যেতে পারে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, প্রাইভেটকারগুলো পুলিশ লাইনে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা কিংবা জিডি হয়নি। বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
এন কে বি নয়ন/এএইচ/এমএস