বনের গাছ চুরি ও অন্যান্য সম্পদের অবৈধ পাচার প্রতিরোধে বনকে প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারির আওতায় আনা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে স্যাটেলাইট ইমেজ, ড্রোন প্রযুক্তি ও আধুনিক তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে দেশের বন পর্যবেক্ষণের কার্যক্রম অচিরেই শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে রেমা-কালেঙ্গা সংরক্ষিত বনের অনলাইন মনিটরিং বিষয়ক সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
তিনি জানান, রেমা-কালেঙ্গা, সাতছড়ি ও লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনের ২০১৫, ২০২০ ও ২০২৫ সালের স্যাটেলাইট ইমেজ ব্যবহার করে পরিবর্তন শনাক্তকরণের জন্য বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান (স্পারসো) এর সহায়তা নেওয়া হবে। পাশাপাশি ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে হাই রেজুলেশন ইমেজ এবং সার্ভে অব বাংলাদেশ থেকে ড্রোন সহায়তা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন নৌ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প থেকে ২৪৮০ কোটি টাকা সাশ্রয়: উপদেষ্টা কপ-৩০ সম্মেলন সামনে রেখে ২৬ দফা দাবির জলবায়ু সনদ প্রকাশসভায় জানানো হয়, অচিরেই বন অধিদপ্তর রেমা-কালেঙ্গা সংরক্ষিত বনের মাতৃগাছ জরিপ ও নম্বর প্রদানের কাজ শুরু করবে। সুফল প্রকল্পে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মচারীরা এ কাজে নিয়োজিত থাকবে। উপদেষ্টা জানান, দেশের সব বনাঞ্চলে মাতৃগাছ শনাক্তকরণ কার্যক্রম দ্রুত শুরু হবে এবং এজন্য বিভাগীয় বন কর্মকর্তাদের সহযোগিতা নেওয়া হবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের বনকে প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারির আওতায় আনতে বন অধিদপ্তরের সমস্যা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় সমাধান নেওয়া হবে।
এ কাজে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের সহায়তা এবং বিশেষজ্ঞদের নিয়োজিত করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, যুগ্মসচিব (বন) শামিমা বেগম, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, উপ-প্রধান বন সংরক্ষক মো. রকিবুল হাসান মুকুলসহ মন্ত্রণালয়, বন অধিদপ্তর ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরএমএম/এএমএ/জিকেএস