নেপালে চলমান ছাত্র আন্দোলনের কারণে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটের পর থেকে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। এ কারণে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট কাঠমান্ডুতে অবতরণ করতে পারেনি। নেপালের আকাশে চক্কর দিয়ে ফ্লাইটটি ঢাকায় ফিরে এসেছে।
একইভাবে নেপাল থেকে যেসব যাত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ঢাকায় ফেরার কথা ছিল তারাও দেশটিতে আটকা পড়েছেন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুগামী বিমানের বিজি-৩৭১ ফ্লাইট ১১৪ যাত্রী নিয়ে কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্য রওয়ানা দেয়। কিন্তু কাঠমান্ডুর কাছাকাছি গেলে ফ্লাইট অবতরণের ক্লিয়ারেন্স দেয়নি ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। পরে নেপালের আকাশে চক্কর দিয়ে ঢাকায় ফিরতে বাধ্য হয়েছে বিমান। আবার কাঠমান্ডু-ঢাকা বিজি ৩৭২ ফ্লাইটের ৯৪ যাত্রী ঢাকা ফিরতে পারেননি।
আরও পড়ুন বিক্ষোভের জেরে পদত্যাগ করলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নেপালে ভ্রমণ না করার আহ্বানজানতে চাইলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) এবিএম রওশন কবির জাগো নিউজকে বলেন, নেপালে আটকে পড়া ৯৪ যাত্রীকে হোটেলে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। একইভাবে ঢাকা থেকে যারা কাঠমান্ডু যেতে চেয়েছিলেন তাদের জন্য হোটেলেরে ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে নেপালে অবস্থানরত সব বাংলাদেশি নাগরিককে নিরাপদে থাকার আহ্বান জানিয়েছে কাঠমান্ডুর বাংলাদেশ দূতাবাস।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দূতাবাসের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি নাগরিকরা যেন বাইরে অযথা বের না হন এবং নিজেদের হোটেল বা অবস্থানস্থলে অবস্থান করেন। একই সঙ্গে নেপালে ভ্রমণের পরিকল্পনা রয়েছে এমন যাত্রীদেরও বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশটিতে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য দূতাবাস দুটি হটলাইন চালু করেছে। নম্বর দুটি হল+ ৯৭৭৯৮০৩৮৭২৭৫৯ এবং +৯৭৭৯৮৫১১২৮৩৮১।
এমএমএ/এমআইএইচএস/এএসএম