উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বাড়তে শুরু করেছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে শুরু করলেও তিস্তা দুইপাড়ের মানুষের বন্যার শঙ্কা কাটেনি। এখনও আতঙ্কে রয়েছে প্রায় ১২ হাজার পরিবার।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টার দিকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির স্তর রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ১৮ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সকাল ৯টায় পানি কমে ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং দুপুর ১২টায় ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। সর্বশেষ সন্ধ্যা ৬টায় পানি কমে ৭ সেন্টিমিটার নিচ নিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ সসয় পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা পাড়ের এলাকার মানুষজনের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, খালিশাচাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম ও চরাঞ্চলের অনেকে পরিবারসহ গবাদি পশুদের নিয়ে নিরাপদ স্থলে আশ্রয় নেন।
পাউবোর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সব জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। তবে পানি কমলেও যে কোনো সময় পানি বিপৎসীমার ওপরে উঠতে পারে।
আমিরুল হক/আরএইচ/এএসএম