প্রবাস

ভুয়া বিয়ে করলে বিদেশিদের গ্রেফতার করে ফেরত পাঠাবে মালয়েশিয়া

বিদেশিরা মালয়েশিয়ায় ভুয়া বিয়ে করলে তাদের গ্রেফতার করা হবে। বিচার ও সাজা শেষে কালো তালিকাভুক্ত করে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এমনটিই জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান।

মালয়েশিয়ায় স্থায়ী বাসিন্দার (পিআর) মর্যাদা ও ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধা পেতে বিদেশিদের ভুয়া ও চুক্তিভিত্তিক বিয়ের প্রবণতা বাড়ছে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর কিছু বিদেশি স্থানীয় নারীদের সঙ্গে বিয়ে করে কেবল ব্যাংক ঋণ, ব্যবসার অনুমতি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে।

অভিযোগ রয়েছে, সুবিধা পাওয়ার পর তারা স্ত্রীকে তালাক দিয়ে সম্পর্ক ছিন্ন করছে—যেন ‌‘সব মধু শেষ হলে খড় ফেলে দেওয়া’।

সমালোচকরা বলছেন, ভুয়া বিয়ে কোনো পারিবারিক বন্ধন নয়, এটি দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। মালয়েশিয়া যদি বিষয়টি এখনই দমন না করে, তবে এই প্রতারণা রাষ্ট্রের শিকড়ে বিষ ঢালবে।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান মাই মেট্রোতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, পরিবার গঠনের উদ্দেশ্য ছাড়া কেবল ব্যবসা বা অবৈধ বসবাসের জন্য বিয়ের মর্যাদা ব্যবহার করা হলে তা তদন্তসাপেক্ষ।

তিনি বলেন, পাস বা অভিবাসন সুবিধার অপব্যবহার গুরুতর অপরাধ। প্রমাণ মিললে বিদেশিদের গ্রেফতার, বিচার ও সাজা শেষে কালো তালিকাভুক্ত করে দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

জাকারিয়া শাবান আরও জানান, বিদেশি স্বামী-স্ত্রীরা দীর্ঘমেয়াদি সামাজিক পাস (পিএলএস) সুবিধা পেলেও কাজ করতে হলে অবশ্যই বৈধ অনুমতির প্রয়োজন। সন্দেহজনক ক্ষেত্রে দম্পতিদের বাড়ি ও কর্মস্থলে হঠাৎ পরিদর্শন, সাক্ষাৎকার ও নথি যাচাই করা হয়।

অভিবাসন বিভাগ (জেআইএম) ইতোমধ্যে পিডিআরএম, জেপিএন, জাকিম রাজ্যের ইসলামিক কর্তৃপক্ষ, এলএইচডিএন ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালাচ্ছে। তথ্য ভাগাভাগি ও সমন্বিত তদন্তের মাধ্যমে বৈবাহিক মর্যাদার অপব্যবহারকারীদের শনাক্ত করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

মালয়েশিয়া সরকার বারবার সতর্ক করেছে—‘বিয়ে কখনোই ব্যবসার টিকিট নয়, ভুয়া বিয়ের মাধ্যমে সুবিধা নেওয়া হলে কঠোর শাস্তি অনিবার্য।’

এমআরএম/এমএমএআর/জেআইএম