বরিশাল মহানগরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী হরিজন পল্লীতে উচ্ছেদ কার্যক্রমের ওপর তিন মাসের জন্য স্থিতাবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রুলও জারি করেছেন আদালত। রুলে বরিশালের হরিজন পল্লীতে চলমান উচ্ছেদ কার্যক্রম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার, বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসক, বরিশালের ডিসিসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী বিভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, প্রজ্ঞা পারমিতা, অনুপ সাহা।
জানা গেছে, বরিশালের এই হরিজন পল্লী দেড়শ বছরের পুরানো এবং শহরের কাঠপট্টিতে অবস্থিত। এখানে মূলত নগরে যারা সুইপার হিসেবে কাজ করেন, তারা সপরিবারে বসবাস করেন। কিন্তু, বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও বরিশালের জেলা প্রশাসক সাম্প্রতিক এক মৌখিক আদেশে তাদের ৪ অক্টোবরের মধ্যে পল্লী ছাড়তে নির্দেশ দেন। এতে সংক্ষুব্ধ হয়ে হরিজন পল্লীর শতাধিক বাসিন্দা গত ১১ সেপ্টেম্বর বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসক, বরিশালের জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদনে উচ্ছেদ বন্ধের জন্য বলেন। কিন্তু আবদনের পরও কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উৎপল বিশ্বাসসহ কয়েকজন জনস্বার্থে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। রিটে বরিশাল সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত ওই হরিজন কলোনির উচ্ছেদ কার্যক্রমকে কেন আইনি কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল চাওয়া হয়।
আদালতের কাছে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ জারি করার আবেদন করা হয়, যাতে হরিজন পল্লীতে বসবাসরতদের উচ্ছেদ না করা হয়।
এফএইচ/এসএনআর/এএসএম