চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের দুই নারী প্রার্থীকে সাইবার বুলিং ও স্লাট-শেমিংয়ের অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টায় চাকসু নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিনের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন ওই দুই নারী প্রার্থী। তারা হলেন চাকসু নির্বাচনে সহ-দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল আদন নুসরাত ও নির্বাহী সদস্য জান্নাতুল ফেরদাউস সানজিদা।
এসময় তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন শাখা শিবিরের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ পারভেজ ও অর্থ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম।
অভিযোগপত্রের সঙ্গে সাইবার বুলিং ও স্লাট-শেমিং সম্পর্কিত বিভিন্ন কমেন্ট সংযুক্ত করা হয়। একইসঙ্গে যে যে আইডি থেকে এসব কমেন্ট করা হয়েছে তাও জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনশীর্ষ নেতৃত্ব ছাড়াই চাকসু নির্বাচনে ছাত্রসংগঠনগুলো
ভুক্তভোগী জান্নাতুল আদন নুসরাত বলেন, ‘প্রথমে দপ্তর সম্পাদক এবং সহ-দপ্তর সম্পাদক পদটি শুধু ছেলেদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। পরবর্তীসময়ে শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রক্ষিতে এই পদটি মেয়েদের জন্যও উন্মুক্ত করা হয়। তখনই আমি সহ-দপ্তর সম্পাদক পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিই। তবে আমরা দেখছি, বিভিন্নভাবে আমাদের সাইবার বুলিং, স্লাট-শেমিং করা হচ্ছে। এসবের প্রমাণসহ আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। আশা করি, এর প্রতিকার পাবো।’
শাখা শিবিরের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ পারভেজ বলেন, ‘প্যানেলের দুই নারী প্রার্থীকে ফেসবুক আইডির পোস্টে ও আমাদের পেজে তাদের নিয়ে বাজে ও নোংরা ভাষায় বিভিন্ন কমেন্ট করা হচ্ছে। ওসব বট আইডি থেকে এমন এমন অকথ্য ভাষায় কমেন্ট করা হচ্ছে, যেগুলো মুখে বলার মতো না।’
তিনি বলেন, নারীদের নিয়ে এসব সাইবার বুলিয়ের প্রতিকার চেয়ে নির্বাচন কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন এটার প্রতিকার করবেন।
এ বিষয়ে চাকসুর প্রধান নির্বাচন কশিমনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি অনুসারে আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবো। অভিযুক্ত আইডি যদি কোনো প্রার্থীর হয়, তাহলে এক ধরনের শাস্তি হবে। সাধারণ শিক্ষার্থী হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সোহেল রানা/এসআর/জিকেএস