সোশ্যাল মিডিয়া

আড়ংয়ের শপিং ব্যাগ নিয়ে নেটজুড়ে হইচই

কেনাকাটার পর এখন আর বিনা মূল্যে শপিং ব্যাগ দেয় না আড়ং। পরিবেশবান্ধব অভ্যাস গড়ে তোলা এবং একবার ব্যবহারযোগ্য প্যাকেজিং কমানোর জন্য এ সিদ্ধান্ত নেয় প্রতিষ্ঠানটি। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়। আড়ং জানায়, এখন থেকে কাগজের ব্যাগের জন্য গ্রাহকদের একটি নির্দিষ্ট মূল্য পরিশোধ করতে হবে। অথবা নিজের ব্যাগ সঙ্গে আনতে হবে।

এ ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে অনেক ক্রেতাকে। অনেকে আবার আড়ংয়ের এ উদ্যোগকে সাধুবাদও জানিয়েছেন। তবে বেশিরভাগই টাকা দিয়ে আড়ংয়ের কাগজের ব্যাগ কিনতে রাজি নন। তাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা নিয়ম পাল্টে ফেলতে ইচ্ছুক নন তারা।

মো. কামরুল ইসলাম লিখেছেন, ‘বয়কট আড়ং। দশ টাকার কাঁচা মরিচ কিনলে দোকানি একটি পলিথিন দেয়, অথচ আড়ংয়ে পঞ্চাশ হাজার টাকার জিনিস কিনলেও কাগজের ব্যাগ ক্রেতাকে কিনতে হবে।’

জার্নি উইথ শামস লিখেছেন, ‘আড়ংয়ে শপিং ব্যাগ আর দিবে না এটা নিয়ে কোনো অভিযোগ থাকতো না, যদি তারা বিকল্প কোনো শপিং ব্যাগ দিতো। কাগজ ছাড়াও চাইলে শপিং ব্যাগ বানানো সম্ভব অন্য মেটেরিয়াল ব্যবহার করে। কিন্তু তারা যেই পদ্ধতি চালু করেছে, তা একদমই সমর্থন করতে পারছি না একজন ক্রেতা হিসেবে।’

তিনি লিখেছেন, ‘প্রথমত ব্যাগের দাম বেশি মনে হয়েছে। দ্বিতীয়ত ব্যাগটা দেখতে একদম বাজে, যা কাউকে উপহার দেওয়ার মতো না। এত দাম দিয়ে জিনিস কিনে তার ওপর মোটা অঙ্কের ভ্যাট দিয়ে যদি এমন বাজে নিয়ম মেনে কেনাকাটা করতে হয়, এর চেয়ে বাজে ব্যাপার আর কী হতে পারে?’

আরও পড়ুনহাসপাতালে বিয়ে নতুন এক ইতিহাসবাবা-মেয়ের আবেগঘন মুহূর্ত ভাইরাল, ভাসছে প্রশংসায়

ইয়াসমিন ঝর্ণা লিখেছেন, ‘দেশের আপুরা আড়ংয়ের ব‍্যাগ মাগনা দেয় না, তাই কানতে কানতে ফেসবুক ভাসিয়ে দিয়েছে। আর আমরা বিদেশে এরকম একটা ঠাকুরমার ঝুলি নিয়ে বের হই, যাতে টাকা দিয়ে ব‍্যাগ কিনতে না হয়।’

কাজী তৌহিদুর রহমান পনির লিখেছেন, ‘ইদানিং অনেকেই আড়ংয়ের ব্যাগ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিচ্ছেন। বিষয়টা অনেকটা ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। আড়ং আপনার কাছ থেকে ব্যাগ বিক্রি করে বাড়তি মুনাফা করছে, আসলে তা নয়। আপনি কি জানেন, উন্নত দেশগুলোতে বহু বছর ধরেই কেনাকাটার ব্যাগ আলাদাভাবে কিনতে হয়? প্লাস্টিক হোক বা কাগজের, প্রতিটি ব্যাগের জন্য ক্রেতাকে পেমেন্ট করতে হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষকে ব্যাগ রিইউজ করতে উৎসাহিত করা, যাতে অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য কমে এবং পরিবেশ সুরক্ষিত থাকে।’

তিনি লিখেছেন, ‘আমরা যদি প্রতিবার ফ্রি ব্যাগ পাই, তবে একবার ব্যবহার করেই ফেলে দেবো। এতে পরিবেশে প্লাস্টিক ও কাগজের অপচয় বাড়বে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হবে। কিন্তু নিজের টাকা দিয়ে কিনলে সেই ব্যাগ আমরা পুনরায় ব্যবহার করতে চাইবো, যা পরিবেশবান্ধব এবং টেকসই একটি পদক্ষেপ।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমাদের বড় সমস্যা হলো নতুন কোনো পরিবর্তন এলে তা সহজে গ্রহণ করতে পারি না। অথচ ইউকে বা ইউএসএতে শপিং ব্যাগের জন্য আলাদা পেমেন্টের নিয়ম রয়েছে। বিদেশে আসার পর কেউই অভিযোগ করেন না। কিন্তু দেশে একই নিয়ম চালু হলে আমরা সমালোচনায় মেতে উঠি।’

এসইউ/জেআইএম