রামপুরার উলন রোডের একটি কিন্ডারগার্টেনে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে সুরাইয়া তুবা। আগামী বছর তৃতীয় শ্রেণিতে উঠবে সে। তৃতীয় শ্রেণিতে তুবাকে সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি করতে চান তার বাবা-মা। তবে কীভাবে সন্তানকে সরকারি স্কুলে ভর্তি করানো যাবে, তা জানেন না। ভর্তিতে লটারি নাকি পরীক্ষা তা নিয়ে এখনো দোলাচলে তারা।
তুবার মা সুমাইয়া আক্তারের ভাষ্য, ‘একবার শুনছি লটারির মাধ্যমে ভর্তি করানো হবে। আবার কেউ কেউ বলছে পরীক্ষা নেবে। ভর্তির আবেদন কবে শুরু হবে, বয়স কত লাগবে, কীভাবে ভর্তি করা হবে- কিছুই জানতে পারছি না।’
শুধু সুমাইয়া আক্তার নয়, সারাদেশের অন্তত ১০ লাখ শিক্ষার্থীর অভিভাবক স্কুলে ভর্তির প্রক্রিয়া নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছেন। ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে নাকি লটারি হবে- সেই প্রশ্ন সবার মুখে মুখে। পাশাপাশি আবেদন ও ভর্তি ফি, বয়সসীমা, ক্যাচমেন্ট এরিয়া, সহোদর কোটাসহ বিভিন্ন কোটা বণ্টন পদ্ধতি নিয়েও জানতে আগ্রহী তারা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এ নিয়ে এখনো কিছু জানায়নি। কর্তৃপক্ষ ‘চুপ’ থাকায় ভর্তি ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়াচ্ছে অপতথ্য। বিশেষ করে কোচিং-প্রাইভেট ব্যবসায়ী একটি চক্র ফেসবুকে ছড়িয়েছে, ‘আগামী বছর স্কুলে ভর্তিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে।’ এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় অভিভাবকরা।
স্কুলে ভর্তি ঘিরে যে কারণে এত আলোচনাদেশে সাড়ে ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সেখানে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। তারপরও অভিভাবকরা প্রাথমিকের পরিবর্তে যেসব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণি থেকে দশম বা এইচএসসি পর্যন্ত চালু রয়েছে, সেখানে ভর্তি করাতে মরিয়া। এর পেছনে বড় কারণ হলো—একবার ভর্তির সুযোগ পেলে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ স্তর একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেষ করার সুযোগ পাবে।
লটারি নাকি পরীক্ষা—এ নিয়ে আমি এখনো কিছুই অবগত নই। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সভা করে নীতিমালা চূড়ান্ত করে। সে নীতিমালা অনুযায়ী—আমরা ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্নের কাজ করি।- মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-১) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী
রামপুরার সপ্তবর্ণ বিদ্যা নিকেতনে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সীমান্ত রায়ের মা সেঁজুতি রায় বলেন, ‘গত দুই বছর ছেলেকে সরকারি স্কুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। লটারিতে একবারও ভাগ্য খোলেনি। এবারও চেষ্টা করাবো, সেটা লটারি হোক কিংবা পরীক্ষা।’
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে না দিয়ে সরকারি মাধ্যমিকে কেন—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এখন প্রাথমিকে ভর্তি করলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে গিয়ে আবার নতুন স্কুল খুঁজতে হবে। এরপর এসএসসি পাস করলে আবার কলেজে ভর্তির প্রতিযোগিতায় নামতে হবে। তার চেয়ে একবার একটা সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজে দিতে পারলে ভার্সিটিতে ভর্তির আগ পর্যন্ত চিন্তামুক্ত থাকা যাবে।’
স্কুলে ভর্তির নীতিমালা কবে২০২৩ ও ২০২৪ সালে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে স্কুলে ভর্তি নিয়ে মাউশি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তোড়জোড় দেখা গিয়েছিল। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করা হয়। নভেম্বরে আবেদন নিয়ে ডিসেম্বরের শুরুতে করা হয় লটারি।
এবছর এখনো স্কুলে ভর্তি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশিতে কোনো নড়চড় নেই। মাউশির মাধ্যমিক শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, মন্ত্রণালয় থেকে তাদের বলা হলে তারপর তারা এ নিয়ে কাজ শুরু করেন। এবার সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত দুর্গাপূজার ছুটিতে থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
স্কুলে ভর্তি নিয়ে শিগগির কার্যক্রম শুরু হবে। অভিভাবকদের কিছু দাবি আছে, কিছু বিষয় আমাদের দিক থেকেও আলোচনা করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়কে সেগুলো সভায় অবহিত করা হবে। নীতিমালা চূড়ান্ত হলে তা অনুসরণ করে কাজ করবে মাউশি।- মাউশির মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান
আবার ৫ অক্টোবর শিক্ষক দিবসের কর্মসূচি আয়োজন নিয়েও মন্ত্রণালয় ব্যস্ত। ফলে স্কুলে ভর্তির বিষয়টি নিয়ে হয়তো অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানান তারা।
আরও পড়ুনশিক্ষার্থী সংকটে ধুঁকছে শহরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়বই ছাপা নিয়ে এবারও ‘ঘোর সংকট’এক বছরেই এসএসসি পাস ৬০০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর ২০৭৭ সন্তান!
মাউশির মাধ্যমিক উইংয়ে পরিচালক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভর্তির নীতিমালায় কিছু সংযোজন-বিয়োজন করার দরকার পড়লে আমরা সিদ্ধান্ত নেই। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে এটা করা হয়। এবারও যথাসময়ে এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের বৈঠক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এবার লটারি নাকি পরীক্ষা?ভর্তিতে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে অভিভাবকদের বড় একটি অংশ দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন। তাদের দাবি—প্রথম শ্রেণি বাদে বাকি সব শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে পাঠ্যবই থেকে প্রশ্নপত্র তৈরি করে পরীক্ষা নেওয়া হোক।
তবে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ কমাতে শিক্ষাব্যবস্থা পরীক্ষাবিহীন করার পরিকল্পনা নিয়েছিল। সে অনুযায়ী—স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রেও পরীক্ষা এড়িয়ে ডিজিটাল লটারি করা হয়। যেখানে সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একজন শিক্ষার্থীকে তার পছন্দের পাঁচটি স্কুলের মধ্যে একটিতে নির্বাচিত করা হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার নতুন কারিকুলাম বাতিল করে ২০১২ সালে প্রণীত সৃজনশীল শিক্ষাক্রম ফিরিয়ে আনে, যাতে পরীক্ষা রয়েছে। এরপর গত বছর স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে পরীক্ষার দাবি জোরালো হয়। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের একটি পক্ষও পরীক্ষার পক্ষে মত দেন। তবে তৎকালীন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দীন মাহমুদের সিদ্ধান্তে ডিজিটাল লটারির পদ্ধতি বহাল রাখা হয়।
এমন পরিস্থিতিতে আগামী ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে স্কুলে ভর্তিতে ডিজিটাল লটারি হবে নাকি পরীক্ষা—সেই প্রশ্ন ১০ লাখেরও বেশি অভিভাবকের। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশির মাধ্যমিক শাখার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিতেও ডিজিটাল লটারি পদ্ধতি বহাল থাকতে পারে। তবে ভর্তি নীতিমালায় কোটার ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে।
স্কুলে ভর্তির আবেদন, লটারির বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করেন মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-১) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘লটারি নাকি পরীক্ষা—এ নিয়ে আমি এখনো কিছুই অবগত নই। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সভা করে নীতিমালা চূড়ান্ত করে। সে নীতিমালা অনুযায়ী—আমরা ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্নের কাজ করি।’
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-আসন কত, বেশি প্রতিযোগিতা কোথায়সরকারি-বেসরকারি স্কুল মিলিয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষে পাঁচ হাজার ৬২৫টি স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে। এসব স্কুলে শূন্য আসন সংখ্যা প্রায় ১১ লাখ ১৭ হাজার। বেসরকারি স্কুলে আসন সংখ্যা বেশি। সেই তুলনায় সরকারি স্কুলে আসন একেবারে কম। ফলে সরকারি স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে তুমুল প্রতিযোগিতা হবে।
সম্প্রতি স্কুলে ভর্তির জন্য কোথায় শূন্য আসন কত, তার তথ্য নিয়েছে মাউশি। তাতে দেখা যায়, দেশের চার হাজার ৯৪৫টি বেসরকারি স্কুলে মোট ভর্তিযোগ্য আসন প্রায় ১০ লাখ আট হাজার। অন্যদিকে ৬৮০টি সরকারি স্কুলে শূন্য আসন প্রায় এক লাখ ৯ হাজার।
মাউশির সহকারী পরিচালক জিয়াউল হায়দার হেনরী জানান, গত বছর সরকারি-বেসরকারি স্কুল মিলিয়ে মোট আবেদন জমা পড়েছিল ৯ লাখ ৬৫ হাজার ৭০৪টি। সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য আবেদন করেছিল ছয় লাখ ২৫ হাজার ৯০৪ জন, যা শূন্য আসনের প্রায় ছয়গুণ। আর বেসরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য আবদেন জমা পড়েছিল তিন লাখ ৪০ হাজারের মতো। ফলে সব শিক্ষার্থী ভর্তির পরও বেসরকারি স্কুলে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ আসন ফাঁকা পড়েছিল।
জিয়াউল হায়দার হেনরী বলেন, ‘বেসরকারির ক্ষেত্রে আসলে সন্তানকে সবাই ভালো স্কুলে ভর্তি করাতে চান। হাতে গোনা কিছু স্কুল ছাড়া অধিকাংশ স্কুলের জন্য কোনো আবেদন জমা পড়ে না। সরকারি ও ভালো বেসরকারি স্কুলে বেশি প্রতিযোগিতা হয়।’
ভর্তিতে বাড়তে পারে সহোদর কোটাস্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে ২০২৫ সালের নীতিমালার অধিকাংশ বিষয় একই থাকতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশির কর্মকর্তারা।
মাউশির মাধ্যমিক শাখার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভর্তি নীতিমালায় থাকা দুই ধরনের কোটা নিয়ে কিছু আলোচনা হতে পারে। সেটা শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটা এবং সহোদর কোটা। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের স্কুলে ভর্তিতে কোটা রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা প্রশ্ন রয়েছে। কারণ স্বাধীনতার এত বছর পর একজন মুক্তিযোদ্ধার স্কুলপড়ুয়া সন্তান থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। এটা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে।’
সহোদর কোটা বাড়তে পারে জানিয়ে মাউশির ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে আমরা কিছু সমস্যায় পড়ছি। সেটা হলো—সহোদর কোটা। অর্থাৎ, একজন অভিভাবকের দুই সন্তান থাকলে একজন একটি স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেলে বা ভর্তি হয়ে থাকলে অপর সন্তানকেও সেখানে সুযোগ দেওয়ার দাবি উঠছে। এ নিয়ে হাইকোর্টে অসংখ্য রিট হয়েছে। আদালতও বিষয়টি বিবেচনায় নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশিকে নির্দেশনা দিয়েছে। সেদিক বিবেচনায় এবার সহোদর কোটা ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ বা ২০ শতাংশ করা হতে পারে।’
ভর্তি ফি ও বয়সসীমা থাকছে আগের মতোইমাউশি সূত্রমতে, আগামী বছরের ভর্তি নীতিমালায় বেশিরভাগ বিষয় আগের মতোই থাকতে পারে। অর্থাৎ, আবেদন ফি থাকবে ১১০ টাকা। ভর্তি ফি মফস্বল এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেশন চার্জসহ সর্বোচ্চ ৫শ টাকা, উপজেলা ও পৌর এলাকায় এক হাজার টাকা, মহানগর এলাকায় (ঢাকা বাদে) সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা।
ঢাকা মহানগর এলাকার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ ভর্তি ফি নিতে পারবে পাঁচ হাজার টাকা। আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তি ফি নিতে পারবে ৮ হাজার টাকা। তবে ইংরেজি ভার্সনে ভর্তি ফি ১০ হাজার টাকা। তাছাড়া রাজধানীর প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নয়ন ফি তিন হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। একই প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রতি বছর সেশন চার্জ নেওয়া যাবে। তবে পুনঃভর্তি ফি নেওয়া যাবে না।
জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী- প্রথম শ্রেণিতে ছয় বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি তারিখে শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স ৫ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য হবে। অর্থাৎ, সর্বনিম্ন জন্ম তারিখ হবে ১ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত এবং সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৭ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ, জন্ম তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত।
পরবর্তী শ্রেণিগুলোতে বয়স নির্ধারণের বিষয়টি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ধারবাহিকভাবে প্রযোজ্য হবে। শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সঙ্গে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বয়স নির্ধারণে সর্বোচ্চ ৫ বছরের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া যাবে।
জানতে চাইলে মাউশির মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান জাগো নিউজকে বলেন, ‘স্কুলে ভর্তি নিয়ে শিগগির কার্যক্রম শুরু হবে। অভিভাবকদের কিছু দাবি আছে, কিছু বিষয় আমাদের দিক থেকেও আলোচনা করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়কে সেগুলো সভায় অবহিত করা হবে। নীতিমালা চূড়ান্ত হলে তা অনুসরণ করে কাজ করবে মাউশি।’
এএএইচ/এএসএ/জেআইএম