সমাবেশে হতাহতের ঘটনার পর থেকে কিছুই খাননি বিজয়। মর্মান্তিক ওই ঘটনায় তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বিজয়ের দল টিভিকে।
দলীয় সূত্রের দাবি, করুরের পদদলন নিয়ে স্বতন্ত্র তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। এজন্য সিবিআই বা আদালত-মনিটর করা তদন্ত দাবি করেছে টিভিকে। এ বিষয়ে আগামীকাল আদালতে শুনানি হবে। শুনানির পর বিজয় নিহতদের পরিবারগুলোর সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
আরও পড়ুন>>
বিজয়ের বাড়িতে বোমা হামলার হুমকি, চেন্নাইয়ে উচ্চ সতর্কতা
২৪ ঘণ্টা পেরোলেও দেখা নেই বিজয়ের, কোথায় আছেন থালাপতি?
থালাপতি বিজয়ের সমাবেশে কীভাবে ঘটলো ভয়াবহ পদদলন?
সূত্র আরও জানিয়েছে, বিজয়কে করুর ছেড়ে চেন্নাই ফিরে যেতে মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা ঠেকাতে কর্তৃপক্ষ টিভিকে-কে পরামর্শ দেয় যেন রাজনীতি পাশে রেখে পরিস্থিতি শান্ত করার দিকে মনোযোগ দেওয়া হয়। তাই বিজয় তাৎক্ষণিকভাবে চেন্নাই ফিরে যান।
এদিকে, দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় এই অভিনেতা ও রাজনীতিবিদের বাড়িতে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে চেন্নাই পুলিশ। দলীয় সমাবেশে পদদলিত হয়ে ৪১ জনের মৃত্যুর একদিন যেতে না যেতেই এই হুমকি পেলেন বিজয়।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে চেন্নাইয়ে বিজয়ের বাড়িতে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। নীলাঙ্কারাই এলাকার ইস্ট কোস্ট রোডে অবস্থিত তার ওই বাড়িতে হুমকির খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে উচ্চ সতর্কতা জারি করে। নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে এবং বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল প্রশিক্ষিত কুকুর নিয়ে বাড়ির ভেতরে তল্লাশি চালায়।
পুলিশ জানায়, বাড়ির প্রতিটি অংশ খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে যাতে কোনো সম্ভাব্য ঝুঁকি না থাকে। পাশাপাশি বিজয়ের বাড়ির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং গাড়ি তল্লাশি চলছে। ঘটনাটির সঙ্গে পদদলনের পর উদ্ভূত বিতর্কের কোনো যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গত শনিবার বিজয়ের দল তামিলাগা ভেত্রি কাজাগম (টিভিকে)-এর সমাবেশে ভয়াবহ পদদলনের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ জনে। নিহতদের মধ্যে আছেন ১৮ জন নারী, ১৩ জন পুরুষ, ৫ জন মেয়ে শিশু ও ৫ জন ছেলে শিশু।
ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরও বিজয়ের দল থেকে কেউ আহতদের দেখতে যাননি বা নিহতদের পরিবারকে সান্ত্বনা দেননি। বিজয় কেবল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতি দিয়ে প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ২০ লাখ রুপি এবং আহতদের জন্য ২ লাখ রুপি আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা দেন। তবে ঘটনাস্থলে অনুপস্থিত থাকায় তাকে বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে।
কেএএ/