সমাবেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১
২৪ ঘণ্টা পেরোলেও দেখা নেই বিজয়ের, কোথায় আছেন থালাপতি?
সমাবেশে পদদলনের ২৪ ঘণ্টা পেরোলেও দেখা নেই বিজয়ের। ফলে প্রশ্ন উঠছে, কোথায় আছেন থালাপতি? শুধু বিজয়ই নন, তার দলের শীর্ষ থেকে মধ্যম সারির কোনো নেতাকেও ভুক্তভোগীদের পাশে দেখা যায়নি এখনো। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন বিজয় ও তার দল তামিলাগা ভেত্রি কাজাগাম (টিভিকে)।
ইন্ডিয়া টুডের খবর অনুসারে, গত শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) তামিলনাড়ুর করুরে টিভিকের সমাবেশে পদদলনের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ১৮ নারী, ১৩ পুরুষ, ৫ মেয়ে শিশু ও ৫ ছেলে শিশু।
কোথায় আছেন থালাপতি বিজয়?
এদিকে, টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরও বিজয়ের দল টিভিকের কোনো নেতাকে দেখা যায়নি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের পাশে বা নিহতদের পরিবারের কাছে। বিজয় শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতি দিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন এবং নিহতদের পরিবারকে ২০ লাখ রুপি ও আহতদের ২ লাখ রুপি আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি চেন্নাইয়ের নিজ বাড়িতে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেও ঘটনাস্থলে যাননি। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন>>
ভারতে অভিনেতা বিজয়ের জনসভায় পদদলিত হয়ে বহু মানুষের মৃত্যুর শঙ্কা
থালাপতি বিজয়ের সমাবেশে কীভাবে ঘটলো ভয়াবহ পদদলন?
থালাপতি বিজয়ের সমাবেশে প্রাণহানির ঘটনায় মামলা
বিজয় বিবৃতিতে বলেছেন, প্রিয়জন হারানো পরিবারের দুঃখে আমি শোকসন্তপ্ত। আপনাদের পরিবারের সদস্য হিসেবে আমি পাশে থাকবো। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।
কিন্তু ঘটনার পর থেকে টিভিকের দ্বিতীয় সারির নেতারাও রয়েছেন নিখোঁজ। আধব অর্জুনা, সিটিআর নিরমল কুমার, এন আনন্দ ও অরুণ রাজের মতো নেতাদের জনসম্মুখে দেখা যায়নি, এমনকি সংবাদমাধ্যম বা দলের কর্মীরাও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।
অন্যদিকে, ভিসিকে দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ভানিয়ারাসু অভিযোগ করেছেন, বিজয় তড়িঘড়ি করে করুর ছাড়েন। এমনকি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্যও থামেননি। বরং দায় এড়াতে আদালতে দৌড়েছেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, বিজেপি সরকারের ছায়ায় আড়াল পাওয়ার আশাতেই কি এমনটা করা হচ্ছে?
বিজেপির নেতা ভিনোজ পি সেলভমও বলেন, টিভিকে ছাড়া সব রাজনৈতিক দল রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে গেছে। নাম তামিলার কাঞ্চির মুখপাত্র ইডুম্বাভানম কার্তিকও বিজয়ের সমালোচনা করেছেন।
চেন্নাইয়ে বিজয়ের বাসভবনে কড়া নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেখানে ২০ জন পুলিশ ও সিআরপিএফ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে, ব্যারিকেড বসানো হয়েছে, যানবাহনে তল্লাশি চলছে।
রাজ্যে ক্ষমতাসীন দল ডিএমকের ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা বিজয়ের বাড়ির কাছে বিক্ষোভ করেছে। তাদের দাবি, বিজয় যেন নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। পরে তার বাসভবনে বোমা হামলার ভুয়া হুমকিও আসে ফোনে।
কেএএ/