উদ্ভাবননির্ভর প্রবৃদ্ধিই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্যোগে ‘স্টার্টআপ কানেক্ট’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রণয় ভার্মা বলেন, স্টার্টআপ শুধু কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সমস্যার সমাধানই করে না, বরং নতুন ধারণা ও অংশীদারত্বের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘স্টার্টআপ কানেক্ট’ ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে ভবিষ্যতমুখী সহযোগিতার নতুন বয়ান দেবে।
ভারতীয় হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ৩০ জন শীর্ষ স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠাতা ও ইকোসিস্টেম নেতা অংশ নেন। নেটওয়ার্কিং সেশনের মাধ্যমে তারা একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পাশাপাশি নতুন অংশীদারত্বের সম্ভাবনা খুঁজে দেখেন।
‘স্টার্টআপ কানেক্ট’ অনুষ্ঠানে ভারত ও বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তুলে ধরা হয়। দুই দেশের স্টার্টআপগুলো প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা কার্যক্রমে কীভাবে একে অপরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারে, সে বিষয়েও আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্টার্টআপ খাতের শীর্ষ ব্যক্তিত্বরা বক্তব্য রাখেন। টেকনোহ্যাভেন কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী এবং মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হাবিবুল্লাহ এন. করিম দেশের স্টার্টআপ খাতের দ্রুত অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন।
আইকোরি ও ১০ মিনিট স্কুলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মির্জা সালমান হোসেন বেগ তরুণ উদ্যোক্তাদের সুযোগ এবং ভারত-বাংলাদেশের সফল সহযোগিতার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। শপআপ বাংলাদেশের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী আতাউর রহিম চৌধুরী ভারতীয় অংশীদারত্ব, বৈশ্বিক প্রযুক্তি দক্ষতায় প্রবেশাধিকার এবং সেরা অনুশীলন গ্রহণের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।
অংশগ্রহণকারীরা মত দেন, এ ধরনের বিনিময় কার্যক্রম সীমান্ত-পার উদ্ভাবনী সহযোগিতা, অর্থায়নের সুযোগ, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং বাজার সম্প্রসারণে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
এ আয়োজনের প্রেক্ষাপট হিসেবে আসন্ন তামিলনাডু গ্লোবাল স্টার্টআপ সামিটের (টিএনজিএসএস) কথা উঠে আসে। আগামী ৯-১০ অক্টোবর ভারতের কোয়েম্বাটুরে অনুষ্ঠিতব্য এ সম্মেলনে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি স্টার্টআপ অংশ নেবে। ভারতের অন্যতম বৃহৎ স্টার্টআপ সম্মেলন হিসেবে স্বীকৃত এবারের সামিটে ৩৯টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবেন। এখানে স্টার্টআপগুলো বিনিয়োগকারী, শিল্পনেতা ও নতুন ব্যবসায়িক সুযোগের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে।
জেপিআই/ইএ/এএসএম